জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে কার্যালয়ের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যকে পেটানোর অভিযোগে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে যুবলীগ নেতা মামুন মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন ডোয়াইল ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রেজাউল হক।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ডোয়াইল ইউপির সদস্য রেজাউল হককে উপজেলা যুবলীগের নেতা মামুন মিয়া গতকাল বুধবার দুপুরে ইউপি কার্যালয়ের ভেতরে পিটিয়ে আহত করেন। ইউপি সচিবের কক্ষে বসে ছিলেন ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রেজাউল হক। এ সময় উপজেলা যুবলীগের সদস্য মামুন মিয়া ইউপি তথ্য ও উদ্যোক্তা ইমরানের সঙ্গে জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান। ইউপি সদস্য রেজাউল হক বিষয়টির প্রতিবাদ করলে যুবলীগ নেতা মামুন তাঁকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ইউপি কার্যালয়ের ভেতরে মারধরের বিষয়টি গতকাল রাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
রেজাউল হকের করা মামলায় মামুন মিয়াসহ চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
ইউপি সদস্য রেজাউল হক বলেন, ‘মামুন মিয়াকে প্রধান আসামি করে থানায় মামলা করেছি। আমাকে অন্যায়ভাবে মারধর করা হয়েছে। বিষয়টি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় আমার মানসম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। আমি মামুনের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবি করছি।’
ডোয়াইল ইউপির চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক বলেন, মামুনকে শিগগির গ্রেপ্তার করা না হলে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সরিষাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক শিব্বির আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, মামুনকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। শিগগিরই মামুনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হবে।