সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানা। ১২ মার্চ কারামুক্তির পর শেরপুর জেলা কারাগারের সামনে
সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানা। ১২ মার্চ কারামুক্তির পর শেরপুর জেলা কারাগারের সামনে

নকলার ‘ইউএনওর’ মামলা থেকে সাংবাদিক শফিউজ্জামানকে অব্যাহতি

শেরপুরের নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নির্দেশে করা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানা। শফিউজ্জামানের আপিল আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন শেরপুর জেলা ভ্রাম্যমাণ আপিল আদালতের বিচারক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) জেবুন নাহার।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারায় (সরকারি কাজে বাধাদান) সাংবাদিক শফিউজ্জামানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, তা থেকে তাঁকে বেকসুর খালাসের ঘোষণা দেন আদালত। সেই সঙ্গে ৫০৯ ধারা (নারী কর্মচারীকে উত্ত্যক্ত) অনুযায়ী যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, সেই ধারায় যত দিন সাজা ভোগ করা হয়েছে, তা থেকে অব্যাহতি দিয়ে মামলা নিষ্পত্তি করা হয়।

শফিউজ্জামান দেশ রূপান্তর পত্রিকার নকলা সংবাদদাতা। ৫ মার্চ তিনি তথ্য অধিকার আইনে নকলার ইউএনওর দপ্তরে তথ্য চাইতে যান। এ সময় সরকারি কাজে বাধা, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি, অসদাচরণ এবং একজন নারী কর্মচারীকে উত্ত্যক্তের অভিযোগে ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানীনের নির্দেশে তৎকালীন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শিহাবুল আরিফ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। সেখানে শফিউজ্জামানকে দুটি পৃথক ধারায় সাত মাসের কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। তবে সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেওয়া সাজায় সাংবাদিক শফিউজ্জামান সাত দিন জেলা কারাগারে বন্দী ছিলেন। পরবর্তী সময়ে ১২ মার্চ শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেবুন নাহার তাঁকে (শফিউজ্জামান) জামিনে মুক্তি দেন।

জেলা ভ্রাম্যমাণ আপিল আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মো. আরিফুর রহমান রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সোমবার বিকেলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের প্রচলিত ধারায় মামলাটি হয়নি। ফলে সাংবাদিক শফিউজ্জামান খালাস পেয়েছেন।

শফিউজ্জামানের আইনজীবী মো. আব্দুর রহিম আদালতের রায়ের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, যে ধারায় মামলাটি করা হয়েছিল, সেটি যথাযথ হয়নি।