সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শিশুরা আবৃত্তি পরিবেশন করে। আজ শুক্রবার সকালে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ মিলনায়তনে
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শিশুরা আবৃত্তি পরিবেশন করে। আজ শুক্রবার সকালে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ মিলনায়তনে

‘এই সংবর্ধনা ভবিষ্যতে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা দেবে’

আষাঢ়ের সকালের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও মৃদু রোদের খেলায় মেতেছিল। এরই মধ্যে মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া কৃতী শিক্ষার্থীরা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানস্থলে এসে হাজির হয়। তাদের সঙ্গে অনেক অভিভাবকও আসেন। সবার সরব উপস্থিতিতে আজ শুক্রবার সকালে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ মিলনায়তনে ছড়িয়ে পড়ে উৎসবের আমেজ।

কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনায় অংশ নিতে অনলাইনে নিবন্ধনের আমন্ত্রণ কার্ড নিয়েই এসেছে সবাই। সেই আমন্ত্রণ কার্ড দেখিয়ে তারা সংগ্রহ করেছে ক্রেস্ট ও স্ন্যাকস। ‘স্বপ্ন দেখো জীবন গড়ো’ স্লোগানে প্রথম আলোর আয়োজনে ও শিক্ষার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘শিখো’র পৃষ্ঠপোষকতায় এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয়। সকাল ১০টায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। সংগীত প্রশিক্ষক সুপ্রিয়া মিশ্রর নেতৃত্বে জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা জাতীয় সংগীত পরিবেশ করে।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের একটি মুহূর্ত। আজ শুক্রবার সকালে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ মিলনায়তনে

আবৃত্তিশিল্পী তাওফিকা মুজাহিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মৌলভীবাজারে কর্মরত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আকমল হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত কলেজশিক্ষক, প্রাবন্ধিক, সাহিত্যের ছোট কাগজ ফসল সম্পাদক মো. আব্দুল খালিক ও মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের প্রভাষক শক্তিপদ পাল। সেরা শিক্ষকের সম্মাননা অনুষ্ঠান ‘ধন্যবাদ স্যার’ পর্বে জেলার ১০ জন শিক্ষকের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন সিলেটে কর্মরত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক সুমন কুমার দাশ। সম্মাননাপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পক্ষে বক্তব্য দেন রাজনগরের মেহেরুন্নেছা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মো. আবুল হোসেন।

কৃতী শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনুভূতি প্রকাশ করে কমলগঞ্জের কালিকাপ্রসাদ উচ্চবিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী পলি রানি দেবী ও শ্রীমঙ্গলের ভিক্টোরিয়া উচ্চবিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ মৃগাঙ্ক বণিক। পলি রানি দেবী বলে, ‘এই সংবর্ধনা আমাদের জন্য বড় একটা পাওয়া। আমাদের ভবিষ্যতে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা দেবে।’

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে উচ্ছ্বসিত কৃতী শিক্ষার্থীরা

উৎসবে সুরের মায়া ছড়িয়ে দেন সংগীতশিল্পী অপরাজিতা রায় কেয়া ও তনুশ্রী পাল শ্রেয়া। একক আবৃত্তি করেন তাওফিকা মুজাহিদ। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে আবৃত্তি সংগঠন উচ্চারণের খুদে আবৃত্তিশিল্পীরা কিছুটা সময় মুগ্ধ করে রাখে সবাইকে। অনুষ্ঠান শেষে উচ্ছ্বাসের রেশ নিয়ে দূরের-কাছের শিক্ষার্থীরা বাড়ির পথ ধরে। মৌলভীবাজারে জিপিএ-৫ পাওয়া ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী উৎসবে অংশ নিতে নিবন্ধন করেছিল।

আয়োজনটি পাওয়ার্ড বাই বিকাশ ও সহযোগিতায় থাকছে কনকর্ড গ্রুপ, ফ্রেশ, বহুব্রীহি, সানকুইক, কনকা-গ্রি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ, এটিএন বাংলা ও প্রথম আলো বন্ধুসভা।