রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের মূল ফটকে থাকা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
হলের নিরাপত্তা প্রহরী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে ১৫-২০ জন এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গেটের সামনের লাইটটি বন্ধ করে দেন। একপর্যায়ে তাঁরা হল গেটের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালটি ভাঙা শুরু করেন। এ সময় তাঁরা হলের কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীকে দূরে সরে যেতে বলেন। ম্যুরাল ভাঙার পর তাঁরা হলের নামফলকটিও ভাঙার চেষ্টা করেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটির মুখের অবয়ব পুরোটা ভাঙা। ম্যুরালের মুখমণ্ডলে শাবল দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। ম্যুরালের সামনের সীমানাপ্রাচীর লোহার চেইনের অংশটুকুও ভেঙে ফেলা হয়েছে।
ভাঙচুরের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন সমন্বয়ক গোলাম কিবরিয়া মো. মেশকাত চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আপনার কাছ থেকেই ম্যুরাল ভাঙচুরের বিষয়টি শুনলাম। কে বা কারা এটি করেছে, সেটি আমার জানা নেই। ম্যুরাল ভাঙচুরের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততা নেই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, সহ–উপাচার্য সুলতান-উল-ইসলাম, হুমায়ুন কবীর, প্রক্টর আসাবুল হকসহ বর্তমান প্রশাসনের ৩১ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। গত মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ সাইখুল ইসলাম মামুন জিয়াদ পদত্যাগ করেছেন। ফলে ম্যুরাল ভাঙচুরের বিষয়ে কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।