নারায়ণগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি ঘিরে গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান বাদী হয়ে করা মামলায় আসামি হিসেবে জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারাসহ ৭১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৮০০ থেকে ৯০০ জনকে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমীর খসরু প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশ বক্স ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় যুবদল কর্মী শাওন প্রধান নিহতের ঘটনায় গতকাল রাতেই অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নিহত শাওনের বড় ভাই মিলন হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পাঁচ হাজারের বেশি নেতা–কর্মী ইটপাটকেল, লোহার রড, হকিস্টিকসহ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দফায় দফায় মিছিল করে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। শাওন ওয়ার্কশপমিস্ত্রি। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীদের নিক্ষিপ্ত ইট ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের গুলির আঘাতে মাথায় ও বুকে গুরুতর জখম হয়ে মৃত্যু হয়েছে শাওনের।
উল্লেখ্য, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নেতা–কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু ছাড়াও পথচারী, নারীসহ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ২৬ জন। পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিপেটায় আহত হয়েছেন পুলিশের সদস্যসহ অর্ধশতাধিক মানুষ। এ সময় ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকা ও ২ নম্বর রেলগেট এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।