বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার দুপুরে
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার দুপুরে

‘স্বৈরাচারের দোসর’ আখ্যা দিয়ে ১০ কর্মকর্তাকে অপসারণের সময় বেঁধে দিলেন যশোর প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ১০ কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ আখ্যা দিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার দুপুরে এই কর্মকর্তা–কর্মচারীদের নাম উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণাও দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে।

স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যায়িত হওয়া কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার এমদাদুল হক, উপরেজিস্ট্রার (স্ট্রেট শাখা) জাহাঙ্গীর আলম, উপপরিচারক (পরিকল্পনা উন্নয়ন) আবদুর রউফ, জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক আবদুর রশিদ, নিরাপত্তা কর্মকর্তা মুন্সী মনিরুজ্জামান, সেকশন অফিসার সাইফুর রহমান, সিনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক, ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সরদার ফরিদ আহমেদ, কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি শওকত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক কে এম আরিফুজ্জামান সোহাগ।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছরে দেশে যে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল, সেই ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক কর্মকর্তা–কর্মচারীও।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আবদুল মজিদ বলেন, শিক্ষার্থীরা কয়েক কর্মকর্তা–কর্মচারীর নামের তালিকাসহ একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।