র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান বলেছেন, ‘শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে একটি কুচক্রী মহল সামান্য কোনো ঘটনাকে ইস্যু করে গুজব ছড়িয়ে ইতিপূর্বে নাশকতা করার চেষ্টা করেছে। এবার সাইবার ওয়ার্ল্ডে গুজব ছড়িয়ে কেউ নাশকতা বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘ্ন করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আজ শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়া এলাকায় রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে র্যাবের মহাপরিচালক এই হুঁশিয়ারি দেন। পরে তিনি শহরের আমলাপাড়া পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে যান।
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ‘সারা দেশে ৩২ হাজার মণ্ডপে পূজা উদ্যাপিত হচ্ছে। গত দুদিন খুব ভালোভাবে কেটেছে। বাকি দুদিনও আমরা উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা সম্পন্ন করতে সক্ষম হব। আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশে সব সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রে শান্তিশৃঙ্খলার মধ্যে বসবাস করছি। এখনো সেই ধারা অব্যাহত থাকবে। এই বাংলাদেশ সব ধর্মের মানুষের দেশ। সব ধর্মের মানুষ তাদের পূজা–অর্চনা, তাদের উৎসব, তাদের ধর্মীয় যে অনুষ্ঠান আছে, সেগুলো যার যার মতো করে পালন করবে। এখানে কেউ বিঘ্ন সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, ‘একটি কুচক্রী মহল গুজব ছড়িয়ে ইতিপূর্বে নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। এবার তারা যাতে কোনোভাবে নাশকতা করতে না পারে, আমরা প্রথম থেকেই প্রস্তুত আছি। আমাদের সাইবার টিম এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গোয়েন্দা দল কাজ করছে। সাইবার ওয়ার্ল্ডে গুজব ছড়িয়ে কেউ যাতে নাশকতা করতে না পারে, সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক ও সজাগ আছি।’
বিভিন্ন স্থানে পূজা ঘিরে নাশকতা ও গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ‘যে মামলাগুলো রুজু হবে, সেগুলো নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত একটি মনিটরিং সেলের মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে। এর সঙ্গে যারা জড়িত, তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নেওয়া হবে। এদের সাজা যাতে নিশ্চিত হয়, আমরা বিষয়টি সব সময় মনিটরিং করব।’
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, র্যাব ১১–এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা, র্যাব ১১–এর সহকারী পরিচালক মেজর অনাবিল ইমাম, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) তরিকুল ইসলাম, রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের উপদেষ্টা প্রবীর কুমার সাহা, জেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি শংকর কুমার দে, রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের মহারাজ একনাথ নন্দ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ প্রমুখ।