জয়পুরহাটে বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির মধ্যে সদর উপজেলা ও শহর শাখা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি উভয় শাখা কমিটির দুজন করে সাংগঠনিক সম্পাদকের নাম উল্লেখ করা হয়।
বিএনপির সদর উপজেলা শাখার সভাপতি পদে হেনা কবির ও সাধারণ সম্পাদক পদে আবু বক্কর সিদ্দিক এবং শহর বিএনপির অধ্যাপক আমিনুর রহমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আবু রায়হান উজ্জল প্রধান নির্বাচিত হন। এ ছাড়া উপজেলা সদর ও শহর শাখার দুজন করে মোট চারজন সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
এর আগে শহরের নতুনহাটের গো-হাটিতে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির ঘোষণা দেয় বিএনপির দুই পক্ষ। পরে এর আশপাশের এলাকায় গতকাল রাত ৮টা ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।
দলটির ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে থাকা ওবায়দুর রহমান সুইট প্রথম আলোকে বলেন, ‘১৪৪ ধারা জারির সময়সীমা রাত আটটা পর্যন্ত ছিল। আমরা রাত আটটার পর শহরের নতুনহাটে গিয়ে উপজেলা সদর ও শহর শাখার ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলের ফলাফল ঘোষণা করি। এর আগে শুক্রবার আটটা থেকে সদর উপজেলা কাউন্সিলের ভোট প্রতিটি ইউনিয়ন ও শহর শাখার ভোট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেনের বাসায় ভোট নেওয়া হয়েছে।’
তবে দলটির আরেক পক্ষের নেতাদের কাউকে কাউন্সিলে রাখা হয়নি বলে অভিযোগ করেন অনেকেই। এরই প্রতিবাদে দলটির ওই পক্ষের নেতা-কর্মীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়কের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে শহরে মশালমিছিল করেন।
একই স্থানে একই সময়ে পাল্টাপাল্টি কাউন্সিলকে ঘিরে দলটির দুই পক্ষে নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় শুক্রবার সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
এ বিষয়ে জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহেদ আল-মামুন বলেন, শুক্রবার শহরের নতুনহাটে সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি ছিল। এই সময়ে নতুনহাটে বিএনপির দুই পক্ষ কর্মসূচি পালন করেনি। সকাল থেকেই নতুনহাটে পুলিশ মোতায়েন ছিল।