কিল-ঘুষি দিয়ে কিশোরকে হত্যার অভিযোগ, থানায় মামলা

মারধর
প্রতীকী ছবি

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষিতে আকিব শাহ (১৪) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে উপজেলার রাজাপুর গ্রামের দক্ষিণপাশে থাকা রাজাপুর কবরস্থান চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।  

নিহত ওই কিশোরের বাড়ি উপজেলার রাজাপুর গ্রামে। সে গ্রামের কৃষক কামরুল হাসানের (৩৮) ছেলে। আকিব উপজেলার বাদশাগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। এ ঘটনায় নিহত আকিবের বাবা চারজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করে আজ বৃহস্পতিবার থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজাপুর গ্রামের চারজন কিশোরের সঙ্গে আকিব শাহর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। গতকাল সন্ধ্যার দিকে ওই চারজন বসে রাজাপুর কবরস্থান চত্বরে বসে লুডু খেলছিল। এ সময় আকিব সেখানে গিয়ে লুডু খেলতে নিষেধ করে। তখন তারা তাকে গালমন্দ শুরু করে। একপর্যায়ে ওই চারজনসহ আরও কয়েকজন আকিবকে এলোপাতাড়ি কিল–ঘুষি ও লাথি মারে। এতে ঘটনাস্থলেই আকিব অচেতন হয়ে লুটিয়ে পড়ে। এলাকার দুই শিশু ঘটনাটি দেখে চিৎকার দেয়। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তাঁরা আকিবকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসক আকিবকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা নাসরিন সাঈদ বলেন, নিহত শিশুটির শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। কী কারণে মৃত্যু হয়ে তা ময়নাতদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব নয়।

আকিবের বাবা কামরুল  হাসান (৩৮) বলেন, ‘আমার ছেড়াডা দুই দিন ধইরা স্কুলে যাইছিল না। হে কইছিল আউজগা (বৃহস্পতিবার) সে স্কুলে যাইব। হের আর স্কুলর যাওয়া অইল না। আমার ছেড়াডারে যারা মারছে হেরার আমি শাস্তি চাই।’

ধর্মপাশা থানার ওসি শামসুদ্দোহা বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার রাতেই চারজনকে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে। মামলার এজাহারে চারজনকে প্রাপ্তবয়স্ক দেখানো হলেও জন্মনিবন্ধন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে। যেহেতু ওই চারজন প্রাপ্তবয়স্ক নয়, তাই তাদের পুলিশের হেফাজতে আনা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।