ফেনী কম্পিউটার ইনস্টিটিউট
ফেনী কম্পিউটার ইনস্টিটিউট

শিক্ষার্থীদের চাপে দায়িত্ব ছাড়লেন ফেনী কম্পিউটার ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অধ্যক্ষের পদ থেকে সরে গেলেন ফেনী কম্পিউটার ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী। গতকাল সোমবার কলেজের উপাধ্যক্ষ সুভদ্রা চৌধুরীর কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন তিনি। এ ছাড়া আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে বদলি হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের অসদুপায়ের সুযোগ করে দিতেন। অনেক নারী শিক্ষার্থীকে কটাক্ষ করেছেন। এ ছাড়া হোস্টেল ও মাঠ সংস্কার না করেও সংস্কারের টাকা আত্মসাতে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। আইসিটিনির্ভর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলেও ল্যাবগুলোতে শিক্ষার্থীদের অনুশীলন করতে না দেওয়ার অভিযোগ আনেন শিক্ষার্থীরা।

টেলি কমিউনিকেশন শিক্ষার্থী জাকিয়া সুলতানা বলেন, অধ্যক্ষ মাজহারুল স্যার আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট শিক্ষক ছিলেন। ক্যাম্পাসে শুধু ছাত্রলীগের রাজনীতি করার অধিকার ছিল। অনেক সাধারণ শিক্ষার্থী তাদের হাতে নিগৃহীত হয়েছে। কিন্তু অধ্যক্ষ কখনোই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেননি। তিনি দলীয় লেজুড়বৃত্তির মাধ্যমে চাকরি করেছেন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তিনি যতটা কঠোর ছিলেন, ছাত্রলীগের বিষয়ে তিনি ততটাই নমনীয় আচরণ করতেন।

আবদুর রহমান নামের এক শিক্ষক বলেন, শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগ এনে পদত্যাগ দাবি করে। প্রথমে তিনি অস্বীকৃতি জানালেও পরে বাধ্য হয়ে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘সাবেক ও বর্তমান কিছু শিক্ষার্থী সোমবার বিকেলে ক্যাম্পাসে হট্টগোল শুরু করে। তারা আমার পদত্যাগ দাবি করে একটি কাগজে স্বাক্ষর করতে বলে। আমি সম্মানের কথা ভেবে সে কাগজে স্বাক্ষর করে দিয়েছি। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি এবং আমাকে অন্যত্র বদলির বিষয়ে অনুরোধ করেছি।’

উপাধ্যক্ষ সুভদ্রা চৌধুরী বলেন, ‘রোববার শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন করে। আমরা তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। পরে সোমবার বিকেলে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উপস্থিতিতে অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী আমার কাছে অধ্যক্ষের দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। কলেজের সার্বিক পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।’