হবিগঞ্জে অটোরিকশার ভাড়া নিয়ে তর্কাতর্কির জেরে সংঘর্ষে বাধে। আজ রোববার সকালে
হবিগঞ্জে অটোরিকশার ভাড়া নিয়ে তর্কাতর্কির জেরে সংঘর্ষে বাধে। আজ রোববার সকালে

হবিগঞ্জে অটোরিকশার ভাড়া নিয়ে তর্কাতর্কির জেরে সংঘর্ষে আহত অর্ধশত

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় আজ রোববার সকালে অটোরিকশার ভাড়া নিয়ে তর্কাতর্কির জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশত আহত হয়েছেন। এ সময় কয়েকটি দোকানে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সংঘর্ষের কারণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচলও বন্ধ হয়ে পড়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে বেলা দুইটার পর থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

পুলিশ জানায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মৌছাক এলাকায় উপজেলার বেড়াখাল গ্রামের বাসিন্দা অটোচালক সালমান মিয়া (২০) ও সাতপাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা অটোযাত্রী সাজিদ তালুকদারের (৫৫) মধ্যে ভাড়া নিয়ে তর্কাতর্কি হয়। চালক ১৫ টাকা ভাড়া দাবি করেন, যাত্রী ১০ টাকা নিতে বলেন। এ নিয়ে চালক ও যাত্রীর মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে দুজনেই গ্রামে ফিরে নিজেদের লোকজনদের নিয়ে মৌছাক এলাকায় আসেন।

উভয় পক্ষ লাঠিসোঁটা, বাঁশ ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মৌছাক এলাকায় সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ওপর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয় পক্ষ মৌছাক এলাকার কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর করার পাশাপাশি লুটপাট চালানো হয়। এ সময় সাতটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে নিবৃত্ত করতে কাঁদানে গ্যাসের সাতটি শেল নিক্ষেপ করে। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

পুলিশ আরও জানায়, পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হলে বেলা দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী আসে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে এবং ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজন পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি উভয় পক্ষের ৪০ থেকে ৪৫ জন আহত হন।

বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে থানায় আনা হয়েছে। এ ছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।