ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে জাল ভোট দিতে বাধা দেওয়ায় পোলিং কর্মকর্তা ও এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ হুমায়ুন কবির ও তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় কেন্দ্রে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ হুমায়ুন কবির (চশমা) ও কামরুল হুদার (টিউবওয়েল) সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নাসিরনগরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চশমা প্রতীকের প্রার্থী শেখ হুমায়ুন কবির কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে চাতলপাড় ইউনিয়নের রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় কেন্দ্রের ৩ নম্বর বুথের পোলিং কর্মকর্তা ফয়সাল ইসলাম ও টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী কামরুল হুদার এজেন্ট মনির হোসেন তাঁদের বাধা দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রার্থী হুমায়ুন কবির, তাঁর ভাই আলমগীর ও সমর্থকেরা ফয়সাল ও মনিরকে মারধর করেন। এ সময় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে কেন্দ্রে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর কিছুক্ষণ ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল।
ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুল হুদার জামাতা নাজমুল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, জাল ভোট দিতে বাধা দেওয়ায় হুমায়ুন কবির ও তাঁর সমর্থকেরা পোলিং কর্মকর্তাকে মারধর করেন। তাঁদের এজেন্ট মনির হোসেনকে ছুরিকাঘাত করেন। ওই এজেন্ট এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
অভিযোগের বিষয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ হুমায়ুন কবিরের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার চেষ্টা করেও সাড়া না দেওয়ায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা পলাশ খান প্রথম আলোকে বলেন, চশমা প্রতীকের প্রার্থী ও তাঁর কর্মী সমর্থকেরা কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে তাঁদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নাসিরনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোনাব্বর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, টিউবওয়েল প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকেরা কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ভোট গ্রহণ চলছে।