খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দিতে যশোরের কেশবপুর থেকে হেঁটে রওনা দিয়েছেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা। উপজেলার শেষ প্রান্তের ইউনিয়ন গৌরি ঘোনা ও সুফলাকাটি থেকে আজ শুক্রবার সকালে তাঁরা রওনা হন। উপজেলার অনেক নেতা–কর্মী ভ্যানে করে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
কেশবপুর থেকে খুলনার পথে চুকনগর পর্যন্ত বাস চলাচল করে। সেখান থেকে আরেক বাসে উঠে যাত্রীদের খুলনায় যেতে হয়। আজ সকাল থেকে সেই বাস চলছে না। সকালে সরেজমিনে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা গেছে, কোনো বাস নেই। সেখানে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, থ্রি–হুইলার ও কিছু ভ্যান দাঁড়িয়ে আছে। বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছাতে যাত্রীদের এসব যানের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
কেশবপুর উপজেলার শেষ প্রান্তের ইউনিয়ন গৌরি ঘোনা ও সুফলকাঠির পরেই খুলনা জেলার সীমানা শুরু। এই দুই ইউনিয়ন থেকে খুলনা শহরের দূরত্ব ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটারের মতো হবে। বিএনপি নেতারা বলছেন, ছোট যানবাহনও পথে বাধার মুখে পড়তে পারে, এই আশঙ্কায় দুই ইউনিয়নের কয়েক শ নেতা–কর্মী হেঁটে রওনা হয়েছেন। তাঁরা গ্রামের ভেতরের বিভিন্ন রাস্তা ধরে খুলনায় পৌঁছাবেন। এরপর আগামীকাল গণসমাবেশে অংশ নেবেন।
গৌরীঘোনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গাজী বাবর আলী জানান, পরিবহন ধর্মঘট হওয়ায় কর্মী–সমর্থকরা সমাবেশে যোগদান করতে পারবেন না। সে কারণে এক দিন আগেই পায়ে হেঁটে কর্মী ও সমর্থকরা খুলনার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তারা পথে বিভিন্ন জায়গায় একটু বিশ্রাম নিয়ে আবার সমাবেশের দিকে রওনা হবেন। কালকে সকালে উপস্থিত হয়ে তাঁরা সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করবেন। এই নেতা প্রথম আলোকে বলেন, তিনি নিজেও অটোরিকশায় করে সকালে খুলনার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তিনি রাতে আত্মীয় বাড়ি অবস্থান করে সকালে সমাবেশে যোগ দেবেন।
গৌরীঘোনা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আলী বলেন, তাঁদের কর্মীরা অনেক বেশি উজ্জীবিত। তাঁরা যেকোনো মূল্যে সমাবেশে যোগ দেবেন।
বিএনপির কেশবপুর উপজেলা আহ্বায়ক কাউন্সিলর মশিউর রহমান বলেন, আজ জুমার নামাজ শেষে ২০০ ভ্যানে করে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে কর্মীরা সমাবেশের উদ্দেশে রওনা হবেন। কোনো বাধাই তাঁদের এই সমাবেশে অংশগ্রহণ ঠেকাতে পারবে না।