এক স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে অপর স্বামীকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল বুধবার যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া থেকে উম্মে হাবিবা ওরফে কণা (৩৪) নামের এক গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করেছেন র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের সদস্যরা।
এর আগে ২০২০ সালের ৫ জুলাই ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পোস্তগোলা ব্রিজের নিচে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে, লাশটি যশোরের চৌগাছা উপজেলার কারিকরপাড়া গ্রামের আসলাম উদ্দিনের (৩৫)। তিনি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার কবুতরপাড়া গ্রামের কামাল পাশার মেয়ে উম্মে হাবিবাকে বিয়ে করে সেখানেই বসবাস করতেন।
এ হত্যাকাণ্ডের পর দায়ের করা মামলা তদন্ত করতে গিয়ে বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তদন্ত কর্মকর্তা জানতে পারেন উম্মে হাবিবা এবং মো. ডালিমের (৩৮) নাম। হত্যাকাণ্ডের পর দুজনই পলাতক ছিলেন। তদন্তকালে পুলিশ ডালিমকে গ্রেপ্তার করে। আত্মগোপনে ছিলেন হাবিবা।
র্যাব জানায়, হাবিবার দ্বিতীয় স্বামী ডালিম। আসলাম উদ্দিন তাঁর তৃতীয় স্বামী। হাবিবা ডালিমকে সঙ্গে নিয়ে আসলামকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দী করে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেন।
ডালিম কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দড়িকান্দী গ্রামের রুপ মিয়ার ছেলে।
র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম নাজিউর রহমান জানান, ২০২০ সালের ৫ জুলাই বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার হাসনাবাদ নৌ পুলিশ বুড়িগঙ্গা নদী থেকে বস্তাবন্দী অজ্ঞাতনামা হিসেবে আসলামের লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় পরদিন ৬ জুলাই কেরানীগঞ্জ থানার হাসনাবাদ নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে লাশটি চৌগাছার কারিকরপাড়ার আসলাম উদ্দিনের বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিশ্চিত হন। তদন্তে আসলামের স্ত্রী হাবিবা এবং তাঁর দ্বিতীয় স্বামী ডালিমের জড়িত থাকার বিষয়টি বেরিয়ে আসে। পরে পুলিশ ডালিমকে গ্রেপ্তার করে। ডালিম পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জানান, হাবিবা অভয়নগরের নওয়াপাড়ায় আত্মগোপনে আছেন। এরপর গতকাল সকালে অভয়নগরের নওয়াপাড়ায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল হাবিবাকে কেরানীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।