মৌলভীবাজারের জুড়ীতে সদ্য কার্পেটিং করা একটি সড়কের বিভিন্ন স্থান খুঁড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভ করেছেন স্থানীয় কয়েকজন। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ, একটি মহল চাঁদা না পেয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে গতকাল বুধবার জুড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, সড়কের কাজ শেষ হওয়ায় ২৭ ফেব্রুয়ারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে সরঞ্জামাদি নিয়ে ফিরছিলেন। একপর্যায়ে ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) স্থানীয় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল জলিল স্থানীয় সরস্বতী বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বল পালকে নিয়ে সেখানে যান।
তাঁরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে আটকে রাখেন। মাঠ পরিষ্কার করানোর জন্য ইউপি সদস্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ফোরম্যান মোশাহিদ মিয়ার কাছে ২০-৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে ইউপি সদস্যকে ২ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এর আগে স্থানীয় মধ্য বটুলি মসজিদের নির্মাণকাজের জন্য নতুনবাজার এলাকার বাসিন্দা জমির উদ্দিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিকের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।
এর মধ্যে গত মঙ্গলবার বিকেলের দিকে স্থানীয় কয়েকজনকে নিয়ে নতুনবাজারের দোকানদার খালেদ আহমদ তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে সড়কটির কার্পেটিংয়ে অনিয়ম হয়েছে বলে প্রচার করেন। এ সময় সড়কের কয়েকটি স্থানে কার্পেটিং তুলে ফেলা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের মাঝামাঝি কয়েকটি স্থানের কার্পেটিং তুলে ফেলা হয়েছে। জমির উদ্দিন নামের এক অভিযুক্ত মসজিদের নামে চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।