কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে আরও ১৫৫ রোহিঙ্গা বসবাস করতে গেছেন। আজ রোববার বিকেলে নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজে তাঁরা ভাসানচরে পৌঁছান।
এর আগে দুপুরে চট্টগ্রামের বোট ক্লাব থেকে জাহাজ ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা করে। এ নিয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণকেন্দ্রে রোহিঙ্গা নাগরিকের সংখ্যা দাঁড়াল ৩২ হাজার ৪৩৫।
ভাসানচর থানা ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তত্ত্বাবধানে কক্সবাজার থেকে বানৌজা টুনা, বানৌজা তিমি ও বানৌজা পেঙ্গুইনের মাধ্যমে ৯১৪ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে আনা হয়। এর মধ্যে স্বেচ্ছায় ভাসানচরে আসেন ৪৫টি পরিবারের ১৫৫ রোহিঙ্গা এবং বাকি ৭৫৯ রোহিঙ্গা ভাসানচর থেকে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বিকেলে রোহিঙ্গাদের জাহাজ থেকে নামানোর পর নৌবাহিনীর পন্টুন-সংলগ্ন হেলিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে গাড়িতে করে বিভিন্ন ক্লাস্টারে বসবাসের জন্য হস্তান্তর করা হয়। সূত্র জানায়, স্বেচ্ছায় আসা ১৫৫ রোহিঙ্গার মধ্যে ৪২ জন পুরুষ, ৫৮ জন মহিলা ও ৫৫ জন শিশু ভাসানচরে এসেছেন।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, আজ নতুন করে ১৫৫ রোহিঙ্গা ভাসানচরে বসবাসের জন্য এসেছেন। এ ছাড়া কক্সবাজার বেড়াতে গিয়ে ফেরত এসেছেন ৭৫৯ জন। তিনি জানান, চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচরে নামানোর পর রোহিঙ্গাদের নিজ নিজ ক্লাস্টারে স্থানান্তর পর্যন্ত পুলিশ তাঁদের সঙ্গে ছিল।