রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদ্য ঘোষিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের নিয়ে প্রবেশ করতে পারেন, এই আশঙ্কায় দুই ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় ছাত্রলীগের একটি পক্ষ। আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটার পর এ ঘটনা ঘটে। প্রথমে কাজলা গেট, পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। পরে প্রক্টরের দপ্তর থেকে বিকেল সাড়ে চারটার পর তালা খুলে দেওয়া হয়।
আন্দোলনকারীদের একজন ও নবগঠিত কমিটির সহসভাপতি শাহিনুর ইসলাম বলেন, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মহানগর ছাত্রলীগসহ বহিরাগতদের নিয়ে নগরের রানীবাজার এলাকায় জড়ো হয়েছেন। তাঁরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারেন—এ কারণে তাঁরা বহিরাগত ঠেকাতে তালা ঝুলিয়ে দেন।
তালা লাগানোর কারণে দুই গেট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অন্যরা ভোগান্তিতে পড়েন। জানতে পেরে তালা দুটি খুলে দেন প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক। প্রথম আলোকে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজ বিকেলে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজামান লিটন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নগর ভবনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মেয়রের বৈঠক চলছিল। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী মহানগর ছাত্রলীগের মধ্যে আলোচনার কথা রয়েছে মেয়রের।
তবে মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুম মুবিন বলেন, সবার অভিভাবক মেয়র মহোদয় ডেকেছেন। নিশ্চয় এটা আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান হয়ে যাবে। তাঁদের ক্যাম্পাসে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।