কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে উপনির্বাচনে আবার প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কৃত সাবেক মেয়র মো. মনিরুল হক ওরফে সাক্কু ও মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ওরফে কায়সার। প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ইতিমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে তাঁরা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। আগামী ৯ মার্চ ওই উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
গত ১৩ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক ওরফে রিফাত (৬৬) মারা যান। ২০২২ সালের ১৫ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তৎকালীন মেয়র মনিরুল হককে মাত্র ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে তিনি মেয়র হয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর মেয়র পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, ৯ মার্চ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএমে) মাধ্যমে মেয়র পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখন পর্যন্ত চারজন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৩ ফেব্রুয়ারি। বাছাই ১৫ ফেব্রুয়ারি। আপিলের সময়সীমা ১৬-১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আপিল নিষ্পত্তি ১৯-২০ ফেব্রুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ ফেব্রুয়ারি। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ ফেব্রুয়ারি।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা অন্য দুজন হচ্ছেন মহানগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও কুমিল্লার সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. জহিরুল ইসলাম ওরফে সেলিম এবং মো. মাঈন উদ্দিন আহমেদ নামের এক ব্যক্তি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মনিরুল হক কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দুবারের সাবেক মেয়র। অন্যদিকে মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি। তাঁরা দুজনই ২০২২ সালের ১৫ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন। তখন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় দুই নেতাকেই আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছিল বিএনপি। ওই বহিষ্কারাদেশ এখনো প্রত্যাহার হয়নি। তবে নিয়মিত তাঁদের দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে।
মনিরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করার জন্য নির্বাচন করব। আমার পক্ষে দলের নেতা-কর্মীরা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। আমার অনুসারীদের নিয়ে বৈঠক করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’ মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘মেয়র পদে উপনির্বাচন করব। মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছি।’