ভূমিদস্যুরা আমার প্রতিপক্ষের পেছনে কোটি কোটি টাকা ঢালছে: পাটমন্ত্রী

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের গঙ্গানগর এলাকায় গণসংযোগের সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন নৌকার প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী। মঙ্গলবার দুপুরে
ছবি: দিনার মাহমুদ

নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক) অভিযোগ করেছেন, তাঁর প্রতিপক্ষরা ভূমিদস্যুদের সহায়তা পাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমার প্রতিপক্ষরা ভূমিদস্যুদের পৃষ্ঠপোষকতায় তাঁদের অর্থে নির্বাচনে নেমেছে। ভূমিদস্যুরা ওই প্রার্থীদের পেছনে কোটি কোটি টাকা খরচ করছেন। তাঁরা একজন পুতুল এমপি বানিয়ে রূপগঞ্জকে দখল করতে চায়।’

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুড়াপাড়া ইউনিয়নের গঙ্গানগর এলাকায় প্রচারণার সময় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আসনটির তিনবারের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর।

পাটমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ভূমি রক্ষার জন্য প্রতিনিয়ত চেষ্টা করেছি এবং ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা রাখছি। কিন্তু ভূমিদস্যুরা এতই ক্ষমতাবান যে তারা প্রশাসনকে পর্যন্ত হার মানিয়ে দেয়। ভূমিদস্যুরা তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে। ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে তারা প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে দেয়। তারা অন্যের জমি দখল করে, জমির মালিককে আঘাত করে, তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়। এভাবে হাজারো মানুষকে নাজেহাল করে তারা সব জায়গা দখল করছে।’

ভূমিদস্যুরা রূপগঞ্জে ‘একচ্ছত্র আধিপত্যের’ উদ্দেশ্যে তাঁর বিপরীতে একাধিক প্রার্থীকে দাঁড় করিয়েছেন বলেও অভিযোগ করে নৌকার প্রার্থী বলেন, ‘আমি তো ব্যবসায়ী, আমার নিজের ব্যবসা আছে। সুতরাং আমার তো অর্থ খরচ করতে কোনো সমস্যা নেই। তাঁরা (প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী) কীভাবে অর্থ খরচ করছে? তাঁদের ভূমিদস্যুরা অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করছে। কারণ, ভূমিদস্যুরা রূপগঞ্জকে দখল করতে একজন পুতুল এমপি বানাতে চান। কিন্তু রূপগঞ্জের জনগণ তা হতে দেবে না।’

গোলাম দস্তগীর গাজী ছাড়াও এ আসনে এবার লড়ছেন সোনালী আঁশ প্রতীকে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকারসহ আটজন প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তিনবারের সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাজাহান ভুঁইয়া (কেটলি), গোলাম দস্তগীরের ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম মোর্তুজা (ঈগল), গোলাম দস্তগীরের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত আওয়ামী লীগ নেতা মো. হাবিবুর রহমান (আলমিরা) ও মো. জয়নাল আবেদীন চৌধুরী (ট্রাক) প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছেন। দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম (লাঙ্গল), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এ কে এম শহিদুল ইসলাম (মোমবাতি) ও জাকের পার্টির জোবায়ের আলম (গোলাপ ফুল)।

রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আহসান মাহমুদ প্রথম আলোকে জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রূপগঞ্জের মোট ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৬১৬ জন ভোটার আছেন। সাতটি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার ১২৮টি কেন্দ্রের ৮১৭টি কক্ষে এবারের ভোট গ্রহণ হবে। শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ এবং ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে তাঁরা কাজ করছেন।