নীলফামারীর ডোমার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার সময় নিয়ন্ত্রণকক্ষে (কন্ট্রোল রুম) হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের কার্যালয় সহকারী ফারুক হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। অজ্ঞাতনামা ৫০০ থেকে ৭০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গতকাল বুধবার প্রথম ধাপে ডোমার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হয়। ফলাফল ঘোষণার সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিয়ন্ত্রণকক্ষে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় নির্বাচনের ফলাফল দিতে ব্যাঘাত ঘটে। ডোমার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো নারী চেয়ারম্যান হয়েছেন সরকার ফারহানা আক্তার (২৫)। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ।
এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বুধবার রাতের ওই ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ ২১টি রাবার বুলেট ছোড়ে। ওই ঘটনায় বৃহস্পতিবার ডোমার নির্বাচন কার্যালয়ের কার্যালয় সহকারী ফারুক হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৫০০ থেকে ৭০০ জনের নামে মামলা করেছেন।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ শেষে ডোমার উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে (কন্ট্রোল রুম) ফলাফল ঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভাইয়ের নেতৃত্বে শতাধিক লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে সেখানে হামলা চালান। এরপর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রাত ১১টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করা হলে আবারও উত্তেজনা শুরু হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে হামলাকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। তাঁরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। একপর্যায়ে পুলিশ গুলি ছোড়ে। দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ওই সংঘর্ষ চলে। এ ঘটনায় পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
এ বিষয়ে জানতে আজ বেলা পৌনে ২টার দিকে তোফায়েল আহমেদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসীন আলী বলেন, ‘এ ঘটনায় ডোমার নির্বাচন কার্যালয়ের কার্যালয় সহকারী ফারুক হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। ওই মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’