নেত্রকোনায় একটি চুরির মামলায় আদালত এক বছরের সাজা দিয়েছিলেন তরিকুল ইসলামকে (৪৮)। সেই সাজা থেকে বাঁচতে তিনি দীর্ঘ ২৭ বছর পলাতক ছিলেন। কিন্তু এতেও শেষ রক্ষা হলো না তাঁর। অবশেষে আজ শনিবার বিকেলে নেত্রকোনা শহরের হাসপাতাল রোড এলাকা থেকে পূর্বধলা থানা–পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি।
গ্রেপ্তার তরিকুল ইসলামের বাড়ি পূর্বধলা উপজেলার ইচুলিয়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৫ সালের এপ্রিলে তরিকুল কেন্দুয়া পৌর শহরের একটি বাসায় চুরি করেন। পরে বাড়ির মালিক তাঁর বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় মামলা করেন। ওই বছরের নভেম্বরে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। পরের বছরের জানুয়ারিতে আদালত ওই মামলায় দুটি ধারায় ছয় মাস করে তাঁকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন। কিন্তু মামলার পর থেকে তরিকুল পলাতক ছিলেন। এক বছরের সাজা থেকে বাঁচতে তিনি দীর্ঘ ২৭ বছর পলাতক থেকে বিভিন্ন স্থানে ফেরি করে পণ্যসামগ্রী বিক্রি করছিলেন। আজ দুপুরে তিনি নেত্রকোনা শহরের হাসপাতাল রোড এলাকায় ফেরি করছিলেন।
খবর পেয়ে পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোখলেছুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এক বছরের সাজা থেকে বাঁচতে গিয়ে আসামি তরিকুল ইসলাম দীর্ঘ ২৭ বছর ছদ্মবেশে পলাতক ছিলেন। পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদের দিকনির্দেশনায় আজ দুপুরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।