লক্ষ্মীপুরে রামগঞ্জ উপজেলার লামচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফয়েজুল্লাহ জিসানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর রামগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে এক ব্যক্তির মনোনয়নপত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগে করা একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে গতকাল রোববার বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ঘেরাও করে ফয়েজুল্লাহকে আটক করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যানকে পুলিশে সোপর্দের পর গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে মনোনয়নপত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলাটি করা হয়। মামলার বাদী রামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ইব্রাহিম মজুমদার। মামলায় জিসানকে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় ৫০ জনকে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৫ আগস্ট থেকে ঢাকায় আত্মগোপনে ছিলেন ফয়েজুল্লাহ জিসান। গতকাল তিনি ঢাকা থেকে এলাকায় ফিরে ইউপি কার্যালয়ে যান। খবর পেয়ে এলাকার লোকজন ইউপি কার্যালয় ঘেরাও করে তাঁকে আটক করেন। পরে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে তাঁকে রামগঞ্জ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মনোনয়নপত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগে করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১১ সালে পৌরসভার নির্বাচনে ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে ইব্রাহিম মজুমদার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। লামচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফয়েজুল্লাহ জিসান তাঁকে মারধর করে মনোনয়নপত্র ছিনতাই করে নিয়ে যান। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য করার জন্য ইব্রাহিম মজুমদারের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর করা হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইব্রাহিম মজুমদার আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেননি।
জানতে চাইলে রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোলায়মান প্রথম আলোকে বলেন, চেয়ারম্যান ফয়েজুল্লাহকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মনোনয়নপত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগে করা মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।