বাগেরহাটে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সভায় অংশ নিতে গিয়ে আটক বাগেরহাট পৌরসভার দুই কাউন্সিলর। বুধবার সদর মডেল থানার সামনে
বাগেরহাটে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সভায় অংশ নিতে গিয়ে আটক বাগেরহাট পৌরসভার দুই কাউন্সিলর। বুধবার সদর মডেল থানার সামনে

ডিসি কার্যালয়ে সভায় গিয়ে বাগেরহাট পৌরসভার ৫ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে একটি সভায় অংশ নিতে গিয়ে বাগেরহাট পৌরসভার পাঁচজন কাউন্সিলর আটক হয়েছেন। আজ বুধবার দুপুরে কার্যালয় চত্বর থেকে তাঁদের হেফাজতে নেয় পুলিশ।

আটক ব্যক্তিরা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী। বাগেরহাট সদর মডেল থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে করা একটি মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তবে পাঁচজনের কেউই ওই মামলার এজাহারনামীয় আসামি ছিলেন না।

গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ আবুল হাসেম (শিপন), জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজাউর রহমান (মন্টু), জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর তানিয়া খাতুন, ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর কোহিনুর বেগম (ডালিম) এবং ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর আসমা আজাদ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার মেয়রদের অপসারণের পর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক মো. ফকরুল হাসানকে বাগেরহাট পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। আজ পৌরসভার একটি সভায় যোগ দিতে ওই কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় স্থানীয় সরকার শাখায় যান কাউন্সিলরা। খবর পেয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা কার্যালয় ও আশপাশে অবস্থান নিয়ে তাঁদের আটকের দাবি জানান। পরে কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় ওই পাঁচ কাউন্সিলরকে আটক করে পুলিশ।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) রাসেলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সদর থানার একটি চাঁদাবাজির মামলায় তিন নারী ও দুই পুরুষ কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।