‘মুরুব্বি মুরুব্বি, উঁহু’ বলায় ১২ বছরের এক কিশোরীর গায়ে গরম পানি ফেলার অভিযোগে অভিযুক্ত নারী সায়েরা খাতুনকে (৬০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতেই ওই নারীকে চট্টগ্রামের আনোয়ারার বটতলী গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে এর আগে সন্ধ্যায় এ ঘটনায় থানায় মামলা করেন দগ্ধ কিশোরীর নানা আমির হোসেন।
গত বুধবার বিকেলে উপজেলার জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াইজারো বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে জানাজানি হয় গতকাল রোববার।
আহত কিশোরীর নাম পপি আকতার (১২)। সে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পপি আকতারের বাবা মফিজুর রহমান ৯ বছর আগে এবং মা বেবী আকতার সাত বছর আগে মারা গেছেন। ওই কিশোরী জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নে অবস্থিত নানাবাড়িতে বসবাস করে আসছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার বিকেলে ওই কিশোরীসহ শিশুরা উঠোনে খেলছিল। ওই সময় এয়ার মোহাম্মদ নামের এক বৃদ্ধকে (৬৫) দেখে মুরব্বি মুরব্বি বলে ওঠে শিশুরা। কিছুক্ষণ পর এয়ার মোহাম্মদের ছোট ভাই আবুল কালামের স্ত্রী সায়েরা খাতুন (৬০) গ্যাসের চুলা থেকে পানি গরম করে পপি আকতারের মাথায় ঢেলে দেন। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে গড়াগড়ি দেয় পপি। উপস্থিত লোকজন পপিকে প্রথমে পুকুরের পানিতে ভিজিয়ে পরে আনোয়ারা হাসপাতালে নিয়ে যান। শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে রাতে তাকে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পালিয়ে যান।
এদিকে রোববার এ ঘটনা প্রথম আলোসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, ‘কিশোরীকে গরম পানি দিয়ে ঝলসে দেওয়ার ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। আমরা রাতেই অভিযুক্ত সায়েরা খাতুনকে গ্রেপ্তার করেছি।’