শামীম ওসমান
শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার সাইনবোর্ড এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মো. রিয়াজ মারা যাওয়ার ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ ১৯২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে নিহত রিয়াজের স্ত্রী ফারজানা বেগম বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলাটি করেন।

মামলার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম। নিহত রিয়াজ ভোলার চর দৌলতখান উপজেলার দিদারখান চর খলিফা এলাকার আবদুর রবের ছেলে। বর্তমানে তাঁরা নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নের পূর্ব গোপালনগর এলাকায় বসবাস করেন।

মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন শামীম ওমানের ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া, সাত খুন মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি নূর হোসেনের ভাতিজা ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের তিন নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল, তাঁর চাচা চার নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নূর উদ্দিন প্রমুখ। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, গত ৫ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দাবি আদায়ের জন্য সদর উপজেলার সাইনবোর্ড পাসপোর্ট কার্যালয়ের পশ্চিম পাশে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের উদ্দেশ্যে জড়ো হয় ছাত্র-জনতা। এ সময় এক নম্বর আসামি শামীম ওসমানের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র, পিস্তল, বন্দুক, রাইফেল, রামদা, চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি, ককটেলসহ দেশি-বিদেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হত্যা ও অরাজকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাতাড়ি গুলি করেন। এ সময় ছাত্রসহ সাধারণ মানুষ আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করলে তাঁর স্বামী মো. রিয়াজ আতঙ্কিত হয়ে দৌড় দিলে বুকে দুটি গুলি বিদ্ধ হয়। স্থানীয় লোকজন রিয়াজকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তী সময়ে খবর পেয়ে গিয়ে লাশ শনাক্ত করা হয়।