কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী আশ্রয়শিবিরে (ক্যাম্প-৮ পশ্চিম) এক রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর নাম সৈয়দ আলম (৪০)। আজ রোববার ভোর পাঁচটার দিকে আশ্রয়শিবিরের ই-ব্লকের ৫০ নম্বর শেডের কাছের খোলা মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
সৈয়দ আলম ওই আশ্রয়শিবিরের ই–ব্লকের সাবব্লক-৮–এর বাসিন্দা নুরুল ইসলামের ছেলে। ওই শিবিরের রোহিঙ্গা নেতাদের দাবি, পূর্বশত্রুতার জেরে সশস্ত্র একটি গোষ্ঠী সৈয়দ আলমকে হত্যা করেছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, রোববার ভোর পাঁচটার দিকে ৮-১০ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আশ্রয়শিবিরের ঘর থেকে সৈয়দ আলমকে তুলে নিয়ে যান। এরপর তাঁকে ই–ব্লকের ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
পুলিশ জানায়, সৈয়দ আলমের গলা কাটা, হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন এবং বুকের বাম পাশে গুলির চিহ্ন রয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে দুপুরে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত চারটার দিকে উখিয়ার বালুখালী আশ্রয়শিবিরে (ক্যাম্প-৮ ডব্লিউ) দুটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনায় আরেকজন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়। তাঁর নাম ছৈয়দ আলম (৬১)। তিনি ওই আশ্রয়শিবিরের ই-ব্লকের এ/৪২ নম্বর শেডের বাসিন্দা।
পুলিশ ও রোহিঙ্গা নেতাদের দেওয়া তথ্যমতে, গত মার্চ মাসে উখিয়ার কয়েকটি আশ্রয়শিবিরে ১০টি পৃথক সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ১১ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ১ শিশুসহ ৪ জন রোহিঙ্গা।