চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার গুমাইবিলকে বলা হয় বাংলাদেশের শস্যভান্ডার। বলা হয়ে থাকে, গুমাইবিলে এক মৌসুমে উৎপাদিত ধান দিয়ে সারা দেশের মানুষকে দুই দিন খাওয়ানো যাবে। গত কয়েক বছর গুমাইবিলে পর্যাপ্ত ফসল হয়নি। তবে এবার পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ার কারণে কৃষকদের আশা, আবার ধানে ভরে উঠবে গুমাইবিল।
তিন হাজার হেক্টর আয়তনের গুমাইবিল দেখলে এখন মনে হয় সবুজ গালিচা দিয়ে কেউ ঢেকে রেখেছে। বিলের কদমতলী, পূর্ব ও মধ্য মরিয়মনগর এবং চন্দ্রঘোনা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় বিলের বীজতলা পরিপুষ্ট হয়েছে। জমিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আমন মৌসুমে এবার ১৫ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার দুই হাজার কৃষকের মধ্যে প্রণোদনা হিসেবে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে বীজতলায় আমনের চারা পুষ্ট হয়েছে। কোথাও কোথাও চারা রোপণ কার্যক্রমও শুরু হয়ে গেছে। তবে সপ্তাহখানেকের মধ্যেই পুরোদমে আমনের চারা রোপণ কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। মাঠে কৃষকদের সহায়তায় কৃষি কার্যালয় সর্বাত্মক সহায়তা করে যাচ্ছে বলে জানান তাঁরা।
সম্প্রতি গুমাইবিলে গিয়ে দেখা যায়, আমন চারা রোপণের জন্য বীজতলা থেকে পুষ্ট চারা সংগ্রহ করতে ব্যস্ত কৃষক। কেউ কেউ জমি প্রস্তুত করে রোপণ করছেন চারা। কেউবা বৃষ্টির পানি জমিয়ে সেচ দিচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের গুমাইবিল ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার বলেন, গুমাইবিলের ৩ হাজার ৪৩৫ হেক্টর জমিতে এবার আমন রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিলের ৭৭৫ হেক্টর আমন বীজতলা করা হয়েছে। এবার বিলে ব্রি ধান ৪৯, ৫১, ৫২, ৭৫, ১০৩, সাদা পাইজামসহ বিভিন্ন উন্নত জাতের আমন আবাদ হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস বলেন, ‘আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ইতিমধ্যে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের সর্বাত্মক সহায়তা করা হচ্ছে। আশা করি, বরাবরের মতো এবারও ফলন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।’