কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে আজ সোমবার ভোররাতে র্যাবের সঙ্গে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সংগঠনটির সামরিক শাখার প্রধান ও একজন বোমাবিশেষজ্ঞকে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
আজ সকাল ১০টার দিকে উখিয়ার টিভি টাওয়ার এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। সেখানে তিনি বলেন, নতুন জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা উখিয়ার বালুখালীর আশ্রয়শিবিরে (ক্যাম্প-৭) অবস্থান করছিলেন। গোপন সংবাদে এ তথ্য জানতে পারে র্যাব।
ভোররাতের দিকে র্যাব সেখানে অভিযান শুরু করলে জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে উখিয়া টিভি টাওয়ার হয়ে ইয়াহিয়া গার্ডেনের ভেতর দিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির পাহাড়ের দিকে পালানোর চেষ্টা করেন। সকালে র্যাব সদস্যরা জঙ্গিদের ঘিরে ফেললে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় র্যাব সদস্যরা জঙ্গি সংগঠনের শুরা সদস্য ও সামরিক শাখার প্রধান রণবীর ও তাঁর সহযোগী বোমাবিশেষজ্ঞ বাশারকে দুটি দেশীয় বন্দুক, বিদেশি একটি পিস্তলসহ আটক করে। তাঁদের কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকাও পাওয়া যায়।
নতুন এই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের গ্রেপ্তারে ইয়াহিয়া গার্ডেন ও কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে র্যাবের সাঁড়াশি অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম ও আইন) মো. আবু সালাম চৌধুরী।
কুতুপালং আশ্রয়শিবিরের কয়েক রোহিঙ্গা নেতা বলেন, আশ্রয়শিবিরে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা), আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনসহ (আরএসও) ১৪ থেকে ২০টি রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র পক্ষ আছে। এর মধ্যে নতুন জঙ্গি সংগঠনের অবস্থান সাধারণ রোহিঙ্গাদের ভাবিয়ে তুলেছে। গত চার মাসে এই সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ২৩ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৫ জন আরসা, ১১ জন রোহিঙ্গা মাঝি (নেতা) ও অন্যরা সাধারণ রোহিঙ্গা। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আরসার প্রধান কমান্ডার আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনিসহ শতাধিক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে উখিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় পৃথক চারটি মামলা হলেও এখনো মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে।