চলন্ত ট্রেনের জানালা দিয়ে উঠতে গিয়ে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন নারী

নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে জানালা দিয়ে চলন্ত ট্রেনের উঠতে চেষ্টা করছেন এক নারী (হলুদ জামা)। পরে তিনি প্লাটফর্মে ছিটকে পড়েন।
ছবি: সিসিটিভি ফুটেজ থেকে সংগৃহীত

যাত্রাবিরতি শেষে আন্তনগর কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন মাত্র চলতে শুরু করেছে। এ সময় দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে স্টেশনে প্রবেশ করেন এক দম্পতি। চলতে শুরু করা ওই ট্রেনে ওঠার জন্য দৌড়াতে থাকেন তাঁরা। একপর্যায়ে দুই সন্তানসহ পুরুষটি একটি জানালা দিয়ে ট্রেনে উঠতে সক্ষম হন। অন্যদিকে ওই নারী জানালা দিয়ে ওঠার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। কিছুক্ষণ ঝুলে থেকে তিনি প্ল্যাটফর্মে ছিটকে পড়েন। অল্পের জন্য প্ল্যাটফর্ম ও ট্রেনের মাঝে পড়েননি তিনি।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্বামী-সন্তানদের নিয়ে ট্রেন চলে যাওয়ার পর ওই নারীও স্টেশন ত্যাগ করেন। স্টেশনটির একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরায় এ দৃশ্য ধরা পড়েছে।

সিসিটিভি ফুটেজ দেখে স্টেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, সিলেট থেকে ছেড়ে আসা আন্তনগর কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকায় যাচ্ছিল। বেলা ১১টা ৩৭ মিনিটে ট্রেনটি স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিয়ে ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে পুনরায় যাত্রা শুরু করে। ট্রেনটিতে খুব ভিড় থাকায় অনেকেই উঠতে পারছিলেন না। ট্রেন ধীরে ধীরে চলতে শুরু করার পর আনুমানিক দুই বছরের ছেলে ও চার বছরের মেয়েকে নিয়ে ওই দম্পতি দৌড়ে জানালা দিয়ে চলন্ত ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করছিলেন। দুই শিশুকে নিয়ে পুরুষটি উঠে যেতে পারলেও নারীটি চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তিনি কিছুক্ষণ ঝুলে থাকার পর প্ল্যাটফর্মে ছিটকে পড়েন। এ সময় প্ল্যাটফর্মে থাকা এক ব্যক্তি তাঁকে ধরে ফেললে তিনি বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে যান।

নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার সাইদুল ইসলাম জানান, এত ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করা ঠিক হয়নি পরিবারটির। প্রায়ই এমন সব ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীরা ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করেন। ভাগ্য ভালো, ট্রেন ও প্ল্যাটফর্মের ফাঁকে পড়েননি ওই নারী। বড় একটি দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গেলেন তিনি।

নরসিংদীর রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (জিআরপি) ইনচার্জ মো. মুরশিদ মোল্লা জানান, ঘটনা শুনে তাঁদের সদস্যরা তৎক্ষণাৎ সেখানে যান। কিন্তু এরই মধ্যে ট্রেনও চলে যায় আর ওই নারীও চলে যান। ফলে তাঁদের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। পরে তাঁরা সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করেছেন।