নরসিংদী-৪ (বেলাব-মনোহরদী) আসনের একটি কেন্দ্রে ১২টি ব্যালট বই ছিনিয়ে নিয়ে নৌকা প্রতীকে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে ওই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বাতিল করা হয়েছে। আজ সকাল ৯টার দিকে কেন্দ্রটির ভোট গ্রহণ বাতিল করেন নরসিংদীর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বদিউল আলম।
আজ রোববার সকাল আটটার দিকে বেলাব উপজেলার সল্লাবাদ ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই জাল ভোট দেওয়ার ঘটনা ঘটে। যাঁর বিরুদ্ধে এই জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ, তিনি আসনটির নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের ছেলে মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদী।
ওই কেন্দ্র–সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তারা বলেন, আজ সকালে ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পরপরই একদল কর্মী নিয়ে কেন্দ্রটিতে বেআইনিভাবে প্রবেশ করেন মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদী। তাঁরা নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ১২টি ব্যালট বই ছিনিয়ে নেন এবং জোর করে নৌকা মার্কায় সিল মারেন। এই নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা কেন্দ্রে হট্টগোল সৃষ্টি করলে ঘটনাটি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়। এর পরপরই রিটার্নিং কর্মকর্তা বদিউল আলম ওই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বাতিল করে দেন।
এই বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদীর ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি। মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠালেও সাড়া দেননি।
আরও পড়ুন
রূপগঞ্জে ‘ভোট কেনার’ সময় ২ জনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ
এনপিপি ও ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থীদের নির্বাচনী এজেন্ট দুই আওয়ামী লীগ নেতা
হুইপের এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ, ভোটার আনছেন নৌকার সমর্থকেরা
আসনটির ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাইফুল ইসলাম খান বলেন, ‘তাঁরা নানাভাবে আমার ভোটার ও সমর্থকদের ভয় দেখিয়ে যাচ্ছেন। শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ বাধাগ্রস্ত করে অবৈধভাবে বিজয়ী হওয়ার আশায় তাঁরা এসব করছেন। এতে কোনো লাভ হবে না।’
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনও কল ধরেননি। তাই তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বদিউল আলম বলেন, অনিয়মের অভিযোগে নরসিংদী-৪ আসনের বেলাব উপজেলার সল্লাবাদ ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বাতিল করা হয়েছে।
নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে যারা এই ঘটনায় জড়িত বলে শনাক্ত হবেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।