রাজবাড়ীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে সাবেক রেলপথমন্ত্রী ও রাজবাড়ী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. জিল্লুল হাকিম, পাংশা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোন্দকার সাইফুল ইসলামসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজবাড়ীর পাংশা আমলি আদালতে মামলাটি করেন এ বি এম নাজিমুদ্দিন আহম্মেদ ওহাব নামের এক ব্যবসায়ী।
নাজিমুদ্দিন আহম্মেদ ওহাব পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের শিহড় গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ী জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক। আজ বুধবার সকালে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পাংশা আমলি আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বাদী নাজিমুদ্দিন আহম্মেদ ওহাব উপজেলার সপ্তগ্রাম ঈদগাহ কমিটি ও কবরস্থান কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। ওই সময় প্রধান আসামি জিল্লুল হাকিমের নির্দেশে বাকি আসামিরা তাঁকে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু মামলার বাদী ওই পদ থেকে সরে না যাওয়ায় জিল্লুল হাকিমের নির্দেশে ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল বাদী নাজিমুদ্দিনকে ডেকে তাঁর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। সাত দিনের মধ্যে এ অর্থ না দিলে এবং ঈদগাহ ও কবরস্থান কমিটির পদ থেকে পদত্যাগ না করলে তাঁকে অপহরণের পর খুন করে লাশ গুম করার হুমকি দেওয়া হয়। চাঁদার টাকা না পাওয়ায় পরবর্তী সময়ে মামলার অন্য আসামিরা ২০২৩ সালের ২১ এপ্রিল ঈদগাহর প্যান্ডেল ভেঙে ফেলে ঈদুল ফিতরে ঈদের নামাজ পড়তে বাধা দেন।
এ বিষয়ে এ বি এম নাজিমুদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘আমি মামলার আসামিদের ভয়ে জীবন বাঁচাতে ঢাকায় চলে যাই। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে পাংশা মডেল থানায় মামলা করতে গেলে থানা-পুলিশ মামলা নেয়নি। গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আমি এলাকায় ফিরে এসে সবার সঙ্গে আলোচনা করে আদালতে মামলাটি করেছি।’