স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া তিন আওয়ামী লীগ নেতার মনোনয়নপত্র বাতিল

টাঙ্গাইল জেলার মানচিত্র
টাঙ্গাইল জেলার মানচিত্র

আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া তিন আওয়ামী লীগ নেতাসহ ছয়জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। যাচাই-বাছাইকালে তাঁদের প্রত্যেকের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরে ত্রুটি পাওয়ায় তাঁদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।

রোববার দ্বিতীয় দিন যাচাই–বাছাইয়ের সময় টাঙ্গাইলের চারটি আসনের নয়টি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। এর আগে শনিবার চারটি আসনে যাচাই–বাছাইয়ে তিনটি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। মোট ১২টি মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার পর ৮টি আসনে এখন ৫৯ জন প্রার্থী রয়েছেন।

টাঙ্গাইল-৬ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম। মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তারেক শামস খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকিরুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সহসভাপতি এ টি এম আনিছুর রহমান।

যাচাই–বাছাইকালে তাঁদের প্রত্যেকের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরে ত্রুটি পাওয়ায় তাঁদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। জাকেরুল ইসলামের ঋণখেলাপির অভিযোগও আসে ব্যাংক থেকে। তাঁরা তিনজনই আপিল করার কথা জানিয়েছেন।

নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে আরও জানা যায়, এ আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা খন্দকার ওয়াহিদ মুরাদের মনোনয়নপত্র ঋণখেলাপির কারণে বাতিল হয়। এ আসনের অপর দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল হাফিজ ও মাহমুদুল ইলাহ্‌র মনোনয়নপত্রও বাতিল হয়েছে।

এর আগে সকালে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বহিষ্কৃত সদস্য খন্দকার আহসান হাবিব এবং মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহের নিগার হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া রাফিউর রহমান খান ইউসুফজাইয়ের মনোনয়নপত্রও বাতিল হয়।

তবে টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীসহ (বীর উত্তম) সাত প্রার্থীর সবার মনোনয়নপত্র যাচাই–বাছাই শেষে গৃহীত হয়।

যাচাই-বাছাই শেষে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কায়ছারুল ইসলাম বলেন, ৩০ নভেম্বর বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৭১টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। ২ ও ৩ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই করেছেন। ১২টি মনোনয়নপত্র বিভিন্ন ভুল-ত্রুটির কারণে বাতিল করা হয়েছে।