চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে তলিয়ে যাওয়ার প্রায় ২৩ ঘণ্টা পর চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি–১–এর পরিচালক আশরাফ উদ্দিনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে তলিয়ে যাওয়ার স্থান থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম নগরের হামিদচর এলাকায় ভাসমান অবস্থায় থাকা তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস। পরে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের কালুরঘাটের ফেরিঘাট এলাকায় নৌকা থেকে নদীতে পড়ে যান আশরাফ উদ্দিনসহ দুজন। অন্যজন সাঁতরে উঠে এলেও আশরাফ উদ্দিন তলিয়ে যান। নদীতে প্রবল স্রোতে তাঁদের বহনকারী নৌকাটি পাশে থেমে থাকা ফেরির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে নৌকা থেকে পড়ে যান আশরাফ উদ্দিন। তলিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে গতকাল সন্ধ্যা থেকে নদীতে তল্লাশি চালান ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। অভিযান অব্যাহত ছিল আজও। পরে বিকেলে অভিযানে যুক্ত হয় নৌবাহিনী।
চট্টগ্রামের কালুরঘাট ফায়ার স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বাহার উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কালুরঘাটের ফেরিঘাট থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে আশরাফ উদ্দিনের মরদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। পরে তাঁরা ফায়ার সার্ভিসকে খরব দেন। এরপর নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মাত্র ৪১ দিন আগে বার্ধক্যের কারণে মারা যান আশরাফ উদ্দিনের মা দিলোয়ারা বেগম। এই অল্প সময়ের মধ্যে আশরাফের এমন পরিণতি পরিবারের বেদনা ও শোককে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আগের দিন শুক্রবার মায়ের মৃত্যুর ৪০ দিনপরবর্তী ধর্মীয় আচার পালন করেছিলেন আশরাফ।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার পূর্ব গোমদণ্ডীর শেখপাড়ার বিডিআরের (বর্তমান বিজিবি) অবসরপ্রাপ্ত সুবেদার মেজর প্রয়াত হাবিবুর রহমানের সন্তান আশরাফ উদ্দিন। তিনি দুই সন্তানের জনক। তাঁর বড় ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া এবং ছোট মেয়ে একটি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত।