বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার সাজানো মামলায় জেলে আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ৭০ বছরের (দুটি মামলায় ৩০ বছর করে ও একটি মামলায় ১০ বছর) কারাদণ্ডাদেশ মাথায় নিয়ে বিনা চিকিৎসায় কারাগারে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর প্রহর গুনেছি। ছাত্র–জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আমি পুনর্জন্ম লাভ করেছি।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় হাবিবুল ইসলাম এ কথা বলেন। উপজেলার পাটকেলঘাটার একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
হাবিবুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর যারা হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা, চাঁদাবাজি ও লুটতরাজ করেছে, তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। আগামী দিনে কোনো সনাতন ধর্মাবলম্বীর ওপর আঘাত এলে আমি সামনে থেকে তা প্রতিহত করব। আপনারা আমাকে ভোট না দিলেও আমি আপনাদের পাশে আছি এবং থাকব।’
বিএনপি–দলীয় সাবেক এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, ‘আসন্ন দুর্গাপূজা যাতে নির্বিঘ্নে হয়, এ ব্যাপারে বিএনপির সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে। তারা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে থাকবে। এবারের দুর্গাপূজা হবে এযাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে। সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে সবার উৎসবে পরিণত করতে হবে।’
তালা উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি মৃণাল কান্তি রায়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র মজুমদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে তালা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি সরজিৎ ঘোষ, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এর আগে তালা উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ১৯৬টি পূজা কমিটির পক্ষ থেকে ১২ জন তাঁদের এলাকার সমস্যা তুলে ধরে প্রতিকার চান। মতবিনিময় সভা শেষে বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত তালা উপজেলার কুমিরা গ্রামের মধু ঘোষ ও স্বপন দে এবং ইসলামকাটির এলাকার বিকাশ মজুমদার ও নারায়ণ মজুমদারের বাড়িতে গিয়ে তাদের খোঁজখবর নেন হাবিবুল ইসলাম এবং তাঁদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।