খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন ২০২৩ পাস হয়েছে। বিধি প্রণয়নের কাজ চলছে। এটি সংসদে অনুমোদন পেলে অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে আরও শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া যাবে। শুধু জরিমানা করেই ছাড় নয়, অবৈধ মজুতদারেরা না শোধরালে তাঁদের জেলে যেতে হবে।
আজ রোববার দুপুরে নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নওগাঁ জেলার সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে হলে ব্যবসায়ীদের অধিক লাভের মনোভাব বদলাতে হবে। চালের দাম বাড়ার পেছনে চালকল মালিক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী এবং করপোরেট প্রতিষ্ঠান—সবার দায় আছে। সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
দেশের মানুষের সামাজিক অবস্থা পরিবর্তন হয়েছে উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে দেশে খাদ্যশস্যের কোনো ঘাটতি নাই। সাধারণ মানুষের জন্য সরকারিভাবে ওএমএস চালু আছে। ওএমএস কার্যক্রম আরও স্বচ্ছ করতে ডিজিটাল কার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে। শিগগিরই ডিজিটাল কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস বিতরণ করা হবে। এতে এক ব্যক্তি বারবার চাল নিতে পারবেন না।’
সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সাধন চন্দ্র মজুমদার আরও বলেন, ‘এখন স্পটে গিয়ে ফুড গ্রেইন লাইসেন্স দিতে হবে। অনেকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটা লাইসেন্স নিয়ে কোটি কোটি টাকার পণ্য মজুত করে ফেলেন। এটা তো হতে পারে না। সবকিছু একটা সিস্টেমের মধ্যে থাকতে হবে।’ এ ছাড়া মজুতবিরোধী অভিযানকালে খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মচারীদের ছুটি বাতিল ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কর্মস্থলে অবস্থান করার আদেশ জারি করতে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
জেলা প্রশাসক গোলাম মওলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, সিভিল সার্জন আবু হেনা মো. রায়হানুজ্জামান সরকার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ তানভীর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।