সড়কের দুই পাশ রঙিন হয়ে আছে ফুলে ফুলে। চোখজুড়ানো ফুলের হাটে কোনো কেনাবেচা নেই, লেনদেন নেই। নেই কোনো দেনদরবার। সারা বেলা ফুলের সঙ্গে শুধু ফুলের কানাকানি, হাওয়ার সঙ্গে ফুলের নাচ। এমন রঙের বৈচিত্র্য এখন পথে পথে।
মৌলভীবাজারের বড়লেখা পৌরসভার বেশ কিছু সড়কের দুই পাশে এখন রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া ও সোনালু ফুলের উচ্ছ্বাস। লাল-হলুদের বন্যা, ভ্রমরের গুনগুন। প্রজাপতি ও মৌমাছিরা উড়ে এসে বসছে ফুলে ফুলে। ফুলে ফুলে আসর জমেছে কীটপতঙ্গের। পথচারীদের নজর কাড়ছে ফুলের সরল হাসি।
বড়লেখা পৌর শহরের লংলিয়া ছড়া, বারইগ্রাম, বাঘমারা, পানিধারসহ কয়েকটি স্থান ঘুরে দেখা গেছে, এসব এলাকার সড়কের দুই পাশে রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া ও স্বর্ণচূড়াসহ বিভিন্ন জাতের ফুল ফুটে আছে। হলুদ-লালে মেশা ফুলে সড়কের দুই পাশ রঙিন হয়ে গেছে। সব ধরনের গাছে প্রচুর ফুল ফুটেছে। পথচারীদের অভ্যর্থনা জানাতেই যেন বাতাসে উড়তে উড়তে পথের ওপর ঝরে পড়ছে ফুলের পাপড়ি। এসব স্থানে আরও অনেক গাছ সড়কের দুপাশে দাঁড়িয়ে আছে। এই গাছগুলোতে এখন অপেক্ষা চলছে। সামনের কোনো এক বসন্ত, গ্রীষ্মে তারাও এমন করে ফুলে ফুলে রঙিন হয়ে উঠবে। বিভিন্ন স্থান থেকে ফুল ও প্রকৃতিপ্রেমীদের অনেকেই এই সৌন্দর্য দেখতে ছুটে আসছেন।
বড়লেখা নারীশিক্ষা একাডেমি ডিগ্রি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মোশারফ হোসেন বলেন, বড়লেখা পৌরসভার মধ্যে নতুন করে যেসব সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে, সেই সড়কগুলোকে সৌন্দর্যমন্ডিত ও দৃষ্টিনন্দন করতে পৌর মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী সড়কের দুই পাশে ফুলের গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করেছেন। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে উত্তর পানিধারসহ বিভিন্ন সড়কের দুই পাশে ফুলগাছ লাগানো হয়েছে। পানিধার সড়কটিতে রাধাচূড়া ও কৃষ্ণচূড়ার পাশাপাশি অনেক খেজুরগাছ রোপণ করা হয়েছে।
সাংস্কৃতিক সংগঠক তপন কুমার দাস প্রথম আলোকে বলেন, পৌর এলাকায় বের হলেই এখন কোথাও না কোথাও ফুলে ফুলে সেজে ওঠা সোনালু, রাধাচূড়া ও কৃষ্ণচূড়ার দেখা মিলবে।
পৌর মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী বলেন, রাস্তার পাশে বিভিন্ন জাতের প্রায় তিন হাজার গাছের চারা লাগানো হয়েছিল। রাস্তার পাশে গাছ টিকানো খুব কঠিন। তারপরও বেশির ভাগ গাছ টিকে গেছে। রাধাচূড়া গাছে প্রচুর ফুল এসেছে। গরুর বাজার ও মেইন রোডে একসঙ্গে অনেক গাছে কৃষ্ণচূড়া ফুটেছে। এ ছাড়া বিচ্ছিন্নভাবে কৃষ্ণচড়া ও সোনালু গাছে ফুল এসেছে।