নাটোরের ছোট্ট একটি চালকলের এক মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে দেড় কোটি টাকার বেশি। অথচ গত কয়েক মাসে ওই চালকলের বিল এসেছিল সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়ীয়া ইউনিয়নের আমিরগঞ্জে। চালকলটির মালিক ওই এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে জালাল উদ্দিন। এ অস্বাভাবিক বিল পেয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
অবশ্য বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ আলোচিত এ বিলের কাগজ যাচাই–বাছাই করে টাকার পরিমাণ ভুল লেখা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন। তাঁরা বিলটি সংশোধন করবেন বলেও আশ্বস্ত করেছেন।
চালকলের মালিক জালাল উদ্দিন জানান, তিনি নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর আওতাধীন একজন সাধারণ গ্রাহক। তিনি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে স্বল্পশক্তির একটি মোটরের মাধ্যমে ধান থেকে চাল তৈরি করতেন। সম্প্রতি সেখানে ঔষধি গাছগাছড়া মাড়াই করে পাউডার বানান। গ্রামটি ‘ঔষধি গ্রাম’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এ পর্যন্ত তাঁর চালকলে ১৫ হাজার টাকার বেশি বিদ্যুৎ বিল আসেনি। অথচ গত ৩০ সেপ্টেম্বর তাঁর চালকলে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ আগস্ট মাসের ১ কোটি ৫২ লাখ ৫১ হাজার ৩১১ টাকার বিল দিয়ে গেছে। বিল পেয়ে তিনি বিস্মিত ও হতভম্ব হয়ে গেছেন। ছোট্ট একটি চালকলে এত টাকা বিদ্যুৎ ব্যবহারের বিষয় তিনি ভাবতেও পারেননি। তিনি এর পর থেকে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
জালাল উদ্দিন আরও জানান, লোকজনের পরামর্শে তিনি বিলটি নিয়ে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এ যোগাযোগ করলে তাঁরা বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। এতে বিলটি ভুল তথ্যে লেখা হয়েছে বলে স্বীকারও করেছেন।
ভুতুড়ে এই বিল সম্পর্কে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর উপমহাব্যবস্থাপক (কারিগরি) মোহাম্মাদ আবু নাসের জানান, বিলটি তৈরিতে বড় ধরনের ভুল হয়েছে। যিনি ভুল করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি সমিতির পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষ গ্রাহকের চালকলে গিয়েছেন। এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।