রংপুরে বিকেল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাজারো মানুষের ঢল নামে। প্রতিবাদী গান ও স্লোগানে মুখর হয় চারপাশ। সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে পালন করা হয় মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচি। এতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বিকেল থেকে রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে হাজারো মানুষ জড়ো হয়। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শহরের বিভিন্ন পাড়া–মহল্লা থেকে সাধারণ মানুষও অংশ নেন এই মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচিতে।
শহীদ মিনারে বিকেল পাঁচটায় শুরু হয় প্রতিবাদী গান। এ সময় শিক্ষার্থীদের মোমবাতি বিতরণ করতে দেখা যায়। অনেক অভিভাবক মোমবাতির প্যাকেট খুলে সবার হাতে হাতে বিতরণ করেন। সন্ধ্যার পরপরই জাতীয় সংগীত বাজার সঙ্গে সঙ্গে একে একে জ্বলে ওঠে হাজারো মোমবাতি। একই সঙ্গে হাজারো কণ্ঠে উচ্চারিত হয় ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি...।’
শহরের পাঁচ কিলোমিটার দূরে সিও বাজার থেকে আনোয়ার হোসেন তাঁর মেয়েকে নিয়ে ছুটে এসেছেন মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচিতে। তিনি বলেন, ‘এই সহিংস ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এই মোমবাতি প্রজ্বালনে এসে খুবই ভালো লাগছে। এত বড় সুন্দর সুশৃঙ্খল আয়োজনে আমি অভিভূত, আনন্দিত।’
এদিকে আজ দুপুরে বৃষ্টিতে ভিজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা রাজপথে বিক্ষোভ ও পদযাত্রা করেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রংপুরের রাজপথ ছিল স্লোগানে মুখর।
মিছিলের স্লোগানে ছিল, ‘জেগেছে রে জেগেছে, বাংলাদেশ জেগেছে’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘আমার ভাই মরল কেন, জবাব চাই, জবার চাই’, ‘৭১–এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’ প্রভৃতি।
মিছিলটি প্রেসক্লাব চত্বর থেকে বের হয়ে শহরের জাহাজ কোম্পানি মোড়, পায়রা চত্বর, জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট, সিটি করপোরেশন, টাউন হল চত্বর, অফিসপাড়া কাচারি বাজারে এসে বিক্ষোভ করে। এরপর সেখান থেকে আবার মিছিলটি শহরের ধাপ চেকপোস্ট এলাকা দিয়ে মেডিকেল মোড় ঘুরে টাউন হল চত্বরে এসে শেষ হয়।