ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে অংশ নিতে কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলা থেকে অন্তত ৩০ হাজার নেতা-কর্মী ঢাকায় পৌঁছেছেন বলে বিএনপির নেতারা দাবি করেছেন। তাঁদের দাবি, আরও অন্তত ২০ হাজার নেতা-কর্মী আজ রাতে ও কাল সকালের মধ্যে ঢাকায় পৌঁছাবেন। গ্রেপ্তার ও পুলিশি হয়রানি এড়াতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন বাসে ১০ জন করে ঢাকায় যাচ্ছেন। তাঁদের কেউ ট্রেনে আবার কেউ নদীপথে মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর হয়ে ঢাকায় যান।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ে কাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক দেয় বিএনপি। ঢাকার কাছাকাছি জেলা কুমিল্লা থেকে এক সপ্তাহ ধরে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় যাচ্ছেন। কুমিল্লা মহানগরের বেশির ভাগ নেতা-কর্মী ঢাকায় পৌঁছেছেন। কুমিল্লা উত্তর জেলার দাউদকান্দি, মুরাদনগর, তিতাস, হোমনা, মেঘনা, চান্দিনা, দেবীদ্বার, দক্ষিণ জেলার বরুড়া, আদর্শ সদর, বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া ও লাকসাম থেকে বেশি নেতা-কর্মী ঢাকায় জড়ো হয়েছেন। কাল সকালেও অনেকে ঢাকায় যাবেন।
বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া বলেন, ‘আমরা কুমিল্লা থেকে ৫০ হাজার লোক যাব। ইতিমধ্যে ২৫-৩০ হাজার যে যাঁর মতো করে ঢাকায় চলে গেছেন। প্রশাসন ও পুলিশ মিলে বাস চলাচল সীমিত করেছে। কাল সকালেও লোকজন যাবে।’
কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব ইউসুফ মোল্লা বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকায় এসেছি। আজ আমাদের কর্মীরা এসেছেন। কাল সকালেও আসবেন। যত বাধাই আসুক না কেন, এক দফা দাবিতে আমরা সোচ্চার।’
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উত্বাতুল বারী বলেন, ‘শেখ হাসিনার পতন ছাড়া কুমিল্লায় ফিরবেন না নেতা-কর্মীরা। আমরা বেশির ভাগ নেতা-কর্মী চলে এসেছি। ১৫ বছর ধরে আমরা নিদারুণ কষ্টে আছি। একতরফা এক দলের কাছে সমাজ, রাষ্ট্র, রাজনীতি সবকিছু। এটা মেনে নেওয়া যায় না।’
কুমিল্লা থেকে ঢাকাগামী এশিয়া লাইন পরিবহনের মালিক জলিশ আবদুর রব বলেন, যুবলীগ ঢাকায় মহাসমাবেশে যাবে বলে তাঁদের চারটি বাস দিয়েছেন। বিএনপিও যাচ্ছে। সবাইকে বাস দিচ্ছেন। কোনো চাপ আপাতত নেই। যেহেতু দুই দলের ঢাকায় একই দিনে মহাসমাবেশ। তাই কোনো সমস্যা হচ্ছে না বাস নিয়ে।