গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন
গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন

সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদের জামিন নামঞ্জুর, কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

নরসিংদী সদরের মাধবদীতে আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে নরসিংদীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল হাসান এ আদেশ দেন।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকার গুলশান থেকে সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। গত ৪ আগস্ট মাধবদী এলাকায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, আক্রমণ ও হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে নূরুল মজিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ দুপুরে তাঁকে নরসিংদী আদালতে হাজির করা হয়েছিল।

আদালতের পরিদর্শক খন্দকার জাকির হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারের পর আজ সকালে সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনকে নরসিংদী আদালতে আনা হয়। দুপুরে তাঁকে আদালতে তোলার পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আদালত রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়ে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাঁকে নরসিংদী কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এর আগের দিন ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে আন্দোলনকারীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয়। এতে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের একজন মহিষাশুড়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রমিক দলের সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম। তাঁর মাথার ডান পাশে গুলি লাগে। ওই দিন রাতেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় একই ওয়ার্ডের শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্যসহ ১২৭ জনের বিরুদ্ধে হামলা ও হত্যার অভিযোগে মামলা করেন। ওই মামলায় সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আদালতে বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন আবদুল বাছেদ ভূঁইয়া ও আবদুল কাদের। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন আবদুল মান্নান ও কাজী নাজমুল ইসলাম।