গণপিটুনি
গণপিটুনি

চুরি করতে এসে বৃদ্ধাকে ছুরিকাঘাত, পরে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ১

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় একটি বাড়িতে চুরি করতে আসা দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে এক বৃদ্ধা গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর চোর সন্দেহে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর পিটুনিতে একজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বড় মির্জাপুর গ্রামে এই গণপিটুনির ঘটনা ঘটে।

মিঠাপুকুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তফা কামাল আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিহত আয়নাল ইসলাম (৩৫) উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ধলারপাড়া গ্রামের মৃত নুরু মিয়ার ছেলে। সন্ধ্যায় রংপুর মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্তের পর তাঁর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের বড় মির্জাপুর গ্রামে আবদুস সাত্তারের বাড়িতে কয়েকজন দুর্বৃত্ত চুরি করতে ঢোকে। বাড়িতে আবদুস সাত্তারের স্ত্রী মনজুয়ারা বেগম (৬০) একাই ছিলেন। এ সময় চোরের দল মনজুয়ারার গলার সোনার চেইন টেনে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দেওয়ায় দুর্বৃত্তরা তাঁকে ছুরিকাঘাত করে। তাঁর চিৎকারে গ্রামের লোকজন ছুটে এলে চোরের দল পালিয়ে যায়। আহত বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর বুক ও পিঠে চুরিকাঘাত করা হয়েছে। তিনি এখন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ জানায়, বৃদ্ধার আহত হওয়ার খবরটি ছড়িয়ে পড়লে তাঁর স্বজন ও এলাকাবাসী চোর সন্দেহে মধ্যরাতে ধলাপাড়া গ্রামে আয়নালের বাড়ি ঘিরে ফেলেন। বিক্ষুব্ধ জনগণ তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে গণপিটুনি দেন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত আয়নালের মা বুলবুলি বেগমের দাবি, তাঁর ছেলে চুরির সঙ্গে জড়িত নন।

মিঠাপুকুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তফা কামাল বলেন, গতকাল রাতে চুরি করতে গিয়ে বাধার মুখে দুর্বৃত্তরা এক বৃদ্ধাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী চোর সন্দেহে তাঁকে ধরে নিয়ে এসে গণপিটুনি দেন। এতে গুরুতর আহত হলে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দেয়নি।