মানিকগঞ্জ

বিএনপি নেতার ঘরের তালা ও জানালা ভেঙে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা গ্রেপ্তার

বিএনপি নেতার বাড়িতে অভিযানের সময় দরজার তালা ভাঙে পুলিশ। মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার সরুপাই গ্রামে
ছবি: সংগৃহীত

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার এক বিএনপির নেতার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ঘরের তালা ও জানালা ভেঙে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় পুলিশের বিরুদ্ধে বাড়ির জিনিসপত্র তছনছ ও গ্রেপ্তার রিপনকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ওই বিএনপির নেতা। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার সরুপাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বিএনপির ওই নেতার নাম সাইফুল ইসলাম। তিনি সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি ঢাকা জজ আদালতের আইনজীবী। তাঁর গ্রামের বাড়ি সরুপাই হলেও পরিবার নিয়ে তিনি ঢাকার সাভারে থাকেন। অভিযানের সময় তিনি ও তাঁর পরিবারের কেউ বাড়িতে ছিলেন না। গ্রেপ্তার রিপন মিয়া মানিকগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি ময়মনসিংহে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। স্ত্রী ও চার বছরের এক কন্যাকে নিয়ে তাঁর কর্মস্থল ময়মনসিংহে থাকেন। ছুটিতে গতকাল তিনি সরুপাই গ্রামের বাড়িতে আসেন।

মানিকগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রিপন মিয়া

বিএনপির নেতা সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে সদর থানার ১৫ থেকে ২০ পুলিশ সদস্য সরুপাই গ্রামে তাঁর বাড়িতে যান। এরপর বাড়ির দুটি টিনের ফটক (গেট) ভেঙে উত্তর পাশের ঘরের বারান্দার গ্রিলের তালা ভেঙে পুলিশ ঘরে ঢোকে। বাড়িটির তত্ত্বাবধায়ক এক যুবক ও রিপন মিয়া ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। পরে পুলিশ রিপনকে আটক করে মারধর করে। এ সময় ঘরের বারান্দার তালা ও একটি জানালা ভাঙচুর করে পুলিশ। ঘরের ভেতরে থাকা জিনিসপত্রও তছনছ করে তারা।

সাইফুল ইসলামের বাড়িতে কেউ না থাকায় তাঁর প্রতিবেশী এক যুবক বাড়িটি দেখভাল করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই যুবক বলেন, তাঁর বন্ধু রিপন মিয়া পরিবার নিয়ে ময়মনসিংহে থাকেন। ছোটবেলা থেকে রিপনের সঙ্গে তাঁর ভালো বন্ধুত্ব। গতকাল রাতে তিনি ও রিপন ওই বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন। দিবাগত রাত তিনটার দিকে পুলিশ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রিপনকে ধরে নিয়ে যায়।

ভেঙে ফেলা জানালা। মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার সরুপাই গ্রামে

অভিযোগের বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রউফ সরকার বলেন, সম্প্রতি সদর উপজেলার তরা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে একটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলার আসামি গ্রেপ্তার করতে ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। তবে অভিযানে গিয়ে কোনো কিছু ভাঙচুর, তছনছ বা কাউকে মারধর করা হয়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।