পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করবে ইউজিসি

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) সাম্প্রতিক নিয়োগে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তিন সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করা হয়।

শিক্ষক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে আর্থিক অনুমোদন ছাড়া নিয়োগ, বিশ্ববিদ্যালয় আইন ভঙ্গ করা, পদবিহীন নিয়োগ, আবেদন না করেও নিয়োগ পাওয়া ও নিয়োগের মানদণ্ড ভঙ্গসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন।

গত ২৮ জানুয়ারি গঠন করা ওই তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ইউজিসির সচিব ফেরদৌস জামানকে। কমিটির সদস্যসচিব হলেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপপরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম শেখ এবং সদস্য হলেন অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপপরিচালক মো. আব্দুল আলীম।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ফেরদৌস জামান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক নিয়োগে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দ্রুত তদন্তকাজ শুরু করবেন তাঁরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গত ২ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় রিজেন্ট বোর্ডে ৫৮ জনকে নিয়োগ দেয়। এই নিয়োগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ছেলেসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের নিয়োগ দেওয়াসহ নানা অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি গত ২৭ ডিসেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শাখায় লিখিতভাবে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ করে।

শিক্ষক সমিতির অভিযোগে বলা হয়, নিয়োগে মোট জনবলের সংখ্যা, বিজ্ঞপ্তির পদ, পদের সংখ্যাসহ বিভিন্ন তথ্য–উপাত্ত সংগ্রহের পর যাচাই-বাছাই করে সাম্প্রতিক নিয়োগপ্রক্রিয়ায় সুস্পষ্ট ব্যত্যয় হয়েছে বলে শিক্ষক সমিতির কাছে মনে হয়েছে।

অভিযোগের পর ১৪ জানুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) বিভাগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শাখা থেকে শিক্ষক সমিতির অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি পাঠানো হয়। এরপর ২৮ জানুয়ারি তদন্ত কমিটি গঠন করে ইউজিসি।