সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকসহ ৮ সাবেক সংসদ সদস্যের নামে হত্যা মামলা

সাবেক কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক
ছবি: সংগৃহীত

সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলামসহ আট সাবেক সংসদ সদস্যসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। শেখ হাসিনার পতনের পর বিজয় মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত মারুফ মিয়ার মা মোছা. মোর্শেদা বাদী হয়ে গতকাল রোববার রাতে এই মামলা দায়ের করেন।

মামলায় জেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংঠনের শীর্ষ নেতাসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন।

ওসি বলেন, নিহত স্কুলশিক্ষার্থীর মা মোছা. মোর্শেদা বাদী হয়ে ৫৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ২০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মামলার অন্য সাবেক ছয় সংসদ সদস্য হলেন তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির, হাসান ইমাম খান ওরফে সোহেল হাজারী, ছানোয়ার হোসেন, খান আহমেদ (শুভ), অনুপম শাহজাহান (জয়) ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম।

মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন টাঙ্গাইল পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম সিরাজুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খন্দকার আশরাফউজ্জামান স্মৃতি, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান ও সাইফুজ্জামান সোহেল, পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান ফারুক, দপ্তর সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম, উপদপ্তর সম্পাদক আনন্দ মোহন দেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মামুনুর রশিদ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ, সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির, জেলা যুবলীগের সভাপতি মাসুদ পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক আবু সাইম তালুকদার, পৌরসভার সদ্য সাবেক কাউন্সিলর তানভীর ফেরদৌস, কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা আতিকুর রহমান ওরফে মোরশেদ, কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান, কাউন্সিলর কামরুজ্জামান মামুন, কাউন্সিলর আমিনুর রহমান আমিন, কাউন্সিলর আবদুল্লাহ আল মামুন বাদশা, কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান প্রিন্স, সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ প্রমুখ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবিতে ৫ আগস্ট দুপুরে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করেন। বিকেলে ছাত্র–জনতা বিজয় মিছিল বের করে। সেখানে বাদীর ছেলে শহরের শাহীন স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র মারুফ মিয়াও অংশ নেয়। একপর্যায়ে সন্ধ্যার দিকে বিজয় মিছিলটি শহরের মূল রোড এলাকায় পৌঁছালে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা রাইফেল, পিস্তল, শটগান ও দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। একপর্যায়ে মারুফ সিটি ব্যাংক ভবনের দ্বিতীয় তলায় আশ্রয় নেয়। অভিযুক্তদের মধ্যে কেউ শটগান দিয়ে মারুফকে গুলি করে। বিজয় মিছিলের ছাত্র–জনতা মারুফকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।