প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, ন্যায়বিচার মানুষের মৌলিক অধিকার। প্রত্যেক মানুষ, প্রত্যেক নাগরিক যেন রাষ্ট্রের কাছে ন্যায়বিচার পান, সেটা সংবিধানে বলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রংপুর জেলা জজ আদালত চত্বরে বিচারপ্রার্থী ও সাক্ষীদের বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আদালত চত্বরে আসা মানুষের জন্য ‘ন্যায়কুঞ্জ’ সহায়ক হিসেবে কাজ করবে উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, বিচারপ্রার্থী মানুষের কোর্টে এসে তাঁদের যে কষ্ট হয়, সেই কষ্ট লাঘবে ন্যায়কুঞ্জ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য। এখানে যাঁরা বিচারপ্রার্থী মানুষ আছেন, কিংবা মামলার সাক্ষী, তাঁরা এখানে বসে সবাই আশ্রয় নিতে পারবেন, সময় কাটাতে পারবেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ন্যায়বিচার প্রাপ্তির প্রথম কাজটি করেন বিচারকেরা। এখানকার বিচারকেরা যখন বিচারকাজ করবেন, তখন যদি বিচারপ্রার্থী মানুষদের ডেকে না পাওয়া যায়, তাঁকে যদি এদিক–সেদিক ঘোরাঘুরি করতে হয়, তাহলে বিচার নিষ্পত্তি করতে অনেক বিলম্ব হয়। সে জন্য বিচারপ্রার্থীরা যদি একটু আরামে, ভালোভাবে অবস্থান করতে পারেন, তাই আজকের এই ন্যায়কুঞ্জ। দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে ন্যায়কুঞ্জ তৈরি করা হচ্ছে।
মামলার দীর্ঘসূত্রতা লাঘবে জেলা জজের নেতৃত্বে বিচারকসহ সংশ্লিষ্টরা যেন আরও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেন, সেই আহ্বান জানান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম সাইফুর রহমান, রংপুরের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মোহাম্মদ নাজির, বিভাগীয় শ্রম আদালতের বিচারক জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ ফজলুল করিম, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুরুজ মিয়া, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুল মালেক, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী প্রমুখ।
‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন শেষে প্রধান বিচারপতি বিচারকদের বিভিন্ন এজলাস ঘুরে দেখেন। পরে চিফ জুডিশিয়াল আদালত ভবনের হল রুমে বিচারকদের সঙ্গে তিনি মতবিনিময় করেন।
এক হাজার বর্গফুটের ন্যায়কুঞ্জে নারী-পুরুষদের আলাদাভাবে বসার স্থান আছে। আরও আছে মাতৃদুগ্ধ পানকক্ষ, পুরুষ ও নারীদের জন্য আলাদা শৌচাগার, খাবার ক্যানটিন, সুপেয় পানি ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা। সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ব্যবহার করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।