সুপেয় পানি পেতে ৮৫ বছর আগে রাজশাহী শহরে ঢোপকল বানানো হয়। সে আমলেই পানি পরিশোধন করে পাইপলাইনে সরবরাহ করা হতো। এক যুগ আগে ওয়াসা নগরজুড়ে পানি সরবরাহের দায়িত্ব নেয়। কিন্তু ওয়াসার পানির মান নিয়ে নগরবাসী সন্তুষ্ট নন। তার ওপর সম্প্রতি এর দাম বাড়ানো হয়েছে তিন গুণ। নগরে গড়ে ওঠেনি পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থাও।
রাজশাহী নগরে ১৯৩৭ সালে ঢোপকলের মাধ্যমে সুপেয় পানি সরবরাহব্যবস্থা গড়ে ওঠে। এই পানি পরিশোধিত হয়ে পাইপলাইনের মাধ্যমে মহল্লার ঢোপকলে গিয়ে জমত। সেখান থেকে নগরবাসী সুপেয় পানি পেতেন। এখন নগরের পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশনের দেখভাল করে ওয়াসা।
৮৫ বছর আগের সেই ঢোপকল এখনো কিছু সচল আছে। কিন্তু আগের সেই পানি নেই। নগরবাসীর অভিযোগ, ওয়াসার পানি এখনো সুপেয় হয়ে ওঠেনি। এতে অতিরিক্ত আয়রন ও ময়লা ছাড়াও মারাত্মক ব্যাকটেরিয়া ‘কলিফর্ম’–এর উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
নগরের স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ বিকল্প পানি পান করেন। ওয়াসার নামের সঙ্গে ‘পয়োনিষ্কাশন’ শব্দটি জড়িত থাকলেও এখনো নগরে পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। ওয়াসার দাবি, এ জন্য তারা প্রকল্প প্রস্তাব করেছে। তবে তা কবে হবে, তার নিশ্চয়তা নেই।
রায় ডি এন দাশগুপ্ত (১৯৩৪-৩৯) রাজশাহী পৌরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালে তাঁর উদ্যোগে এবং রাজশাহী অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় রাজশাহী নগরবাসীকে সুপেয় পানি সরবরাহের সিদ্ধান্ত হয়। সে সময় রাজশাহী অ্যাসোসিয়েশন মহারানি হেমন্তকুমারীসহ অন্যান্য দানশীল ব্যক্তিকে এ ব্যাপারে এগিয়ে আসার অনুরোধ করে। তখন হেমন্তকুমারী একাই ৬৫ হাজার টাকা অনুদান দেন। বড় অঙ্কের একক অনুদানের কারণে রাজশাহী জেলা বোর্ডের দান করা জমিতে মহারানি হেমন্তকুমারীর নামেই ‘ওয়াটার ওয়ার্কস’ স্থাপিত হয়। সেই সময় ঢোপকলে পানি সরবরাহব্যবস্থার পাইপগুলো ছিল ‘কাস্ট আয়রন’–এর এবং প্রয়োজনীয় অন্য দ্রব্যগুলো পিতলের তৈরি ছিল। সিমেন্টের তৈরি ঢোপকলগুলো ব্যতীত অন্য সবকিছুই ইংল্যান্ড থেকে প্রস্তুত করে নিয়ে আসা হয়েছিল। তখন হেমন্তকুমারী ওয়াটার ওয়ার্কসে প্রতিদিন ৭০০ ঘনমিটার ভূগর্ভস্থ পানি শোধন করা হতো। এই পানি শোধন কেন্দ্রে আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ ও পানির ক্ষারতা দূর করার ব্যবস্থা ছিল। এই শোধিত পানি পাইপলাইনের মাধ্যমে নগরের মোড়ে মোড়ে স্থাপিত ১০০টির বেশি ঢোপকলে গিয়ে পৌঁছাত। ঢোপকলে জমা পানি সাধারণ মানুষ নিজেদের প্রয়োজনমতো নিয়ে যেতেন।
এই ঢোপকলগুলোর প্রতিটির পানি ধারণক্ষমতা ৪৭০ গ্যালন। প্রতিটিতেই ছিল একটি ‘রাফিং ফিল্টার’। এতে বালু ও পাথরের স্তর ছিল, যাতে সরবরাহকৃত পানি আরও পরিশোধিত হয়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছায়। সেই সময় সারা দিনে মাত্র দুই ঘণ্টা পানি সরবরাহ করা হতো। এ জন্য প্রতিটি ঢোপকলকে পানি রিজার্ভ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হতো। ফলে সারা দিনই পানি পাওয়া যেত। ১৯৬৫ সালে হেমন্তকুমারী ওয়াটার ওয়ার্কসকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। পরে বাংলাদেশ সরকারের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নগরের পানি সরবরাহব্যবস্থার কিছুটা উন্নয়ন ঘটায়। ১৯৮০ সালের পর ডাচ সাহায্যপুষ্ট একটি প্রকল্প এবং ১৯৯৬ সালে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর মহানগরে পানি সরবরাহব্যবস্থা উন্নয়নের উদ্যোগ নেয়।
২০১০ সালের ১ আগস্ট রাজশাহী ওয়াসা প্রতিষ্ঠিত হয়। তার আগে রাজশাহী সিটি করপোরেশন মহানগর এলাকায় নিরাপদ পানি সরবরাহের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। তখন নগরের পাইপলাইনের মাধ্যমে ২১ হাজার হোল্ডিংয়ে পানির সংযোগ দেওয়া হয়। এতে শহরের ৫৬ শতাংশ মানুষের চাহিদা পূরণ হতো। বর্তমানে গ্রাহকসংখ্যা ৪৬ হাজার ২৫০। এখন চাহিদার ৮৪ শতাংশ পানি সরবরাহ করা হয়। আগে শতভাগ ভূগর্ভস্থ পানি সরবরাহ করা হতো। এখন ৪ শতাংশ ভূ-উপরিস্থ পানি সরবরাহ করা হয়। ওয়াসার আওতাভুক্ত এলাকা ১০৪ দশমিক ১৫ বর্গকিলোমিটার। শুরুতে উৎপাদক নলকূপ ছিল ৫৫টি। এখন ১০৮টি চালু রয়েছে। দৈনিক নগরের পানির চাহিদা ১২ কোটি লিটার। সরবরাহ করা হয় ১০ কোটি ২০ লাখ লিটার। এক যুগ ধরে ওয়াসার নিজস্ব ভবন নেই। কার্যালয় চলছে ভাড়া বাড়িতে।
সম্প্রতি নগরের দায়রাপাড়ার মোড়ে তাদের নিজস্ব ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। এখনো রয়েছে জনবলের সংকট। ওয়াসার অনুমোদিত পদের সংখ্যা ২৫৪। তার মধ্যে ৮১ জন নিজস্ব কর্মকর্তা-কর্মচারী। ১৭৩টি পদ শূন্য। শূন্য পদের মধ্যে প্রথম শ্রেণির ১৭টি, দ্বিতীয় শ্রেণির ১৩টি, তৃতীয় শ্রেণির ৪৫টি, চতুর্থ শ্রেণির ৫২টি ও আউট সোর্সিং ৪৬টি।
রাজশাহীতে ওয়াসার পানিতে পেটের পীড়ার অন্যতম উপাদান কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া যায়। ওয়াসা নিজ উদ্যোগে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পরীক্ষায় পানিতে এই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি মিলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওয়াসার পানিতে এই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি শূন্য থাকার কথা। সেখানে ‘কলোনি ফর্মিং ইউনিট’ ১ হাজার পর্যন্ত পাওয়া গেছে, যা অত্যন্ত ক্ষতিকর। ২০২০ সালের নভেম্বরে এই পরীক্ষার ফলাফল জানা যায়। ওয়াসা নিজ উদ্যোগে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে এই পানি পরীক্ষার ব্যবস্থা করে।
সে সময় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কেমিস্ট শফিকুল ইসলাম বলেছিলেন, রাজশাহী শহরজুড়েই নির্মাণকাজ চলছে। রাস্তা খুঁড়তে গিয়ে পাইপ ফেটে যায়। এগুলো হয়তো পলিথিন দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়। কোনোভাবে এই পলিথিন ছিঁড়ে গেলেই সেখান দিয়ে সুয়ারেজের পানি ঢুকে পড়ে। এই পানিতে গবাদিপশু এমনকি মনুষ্যবর্জ্য মিশে থাকতে পারে। এই বর্জ্য থেকেই কলির্ফম ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়। পরীক্ষায় ওয়াসার পানিতে কলোনি ফর্মিং ইউনিট ৫ থেকে ১ হাজার পর্যন্ত পাওয়া গেছে, যা খাওয়ার পানিতে থাকার কথাই নয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক বিজ্ঞানী এম মনজুর হোসেন বলেন, কলিফর্ম ভয়ংকর ব্যাকটেরিয়া, এই ব্যাকটেরিয়ামিশ্রিত পানির কারণেই মানুষের খাদ্যে বিষক্রিয়া হয়ে থাকে। খাওয়ার পানিতে এই ব্যাকটেরিয়ার কোনো সহনীয় মাত্রা নেই। পেটের পীড়ার জন্য অন্যতম উপাদান হচ্ছে কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া।
ওয়াসা বলছে, কয়েকটি জায়গায় সীমিত আকারে কলিফর্মের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ‘ক্লোরিনেশন’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেটি দূর করা হয়েছে। ১৫টি পাম্পে এই প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও বাড়ানো হবে। ইতিমধ্যে তাঁরা নিজেরাও পরীক্ষা করেছেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে দিয়েও পরীক্ষা করানো হয়েছে। পানিতে আর কলিফর্ম পাওয়া যায়নি। আর পানির ময়লা দূর করার জন্য পাইপগুলো ‘ওয়াশ আউট’ করা হচ্ছে।
রাজশাহীর ওয়াসার পানি সাধারণত নিম্নবিত্তের মানুষ সরাসরি ওয়াসার পাইপলাইন থেকে নিয়ে পান করেন। এখনো শহরের বিভিন্ন মোড়ে যে কয়েকটি ঢোপকল রয়েছে, তার সঙ্গে ওয়াসার পানির লাইন সংযুক্ত করা হয়েছে। সেখান থেকে পানি নিয়ে মহল্লাবাসী পান করেন। রাজশাহী নগরে খাবারের যে হোটেলগুলো রয়েছে, তাতেও ফিল্টার করা পানির ব্যবস্থা রাখা হয়। আলাদা টাকা দিয়ে ক্রেতারা এই পানি পান করেন। নিম্নবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষ যাঁরা আলাদা করে টাকা দিয়ে খাবার পানি কিনতে চান না, তাঁরাই হোটেলে ওয়াসার পানি পান করেন।
রাজশাহী নগরের কুমারপাড়া এলাকার একটি সাধারণ মানের খাবার হোটেল হচ্ছে ‘গোলাপ মামার হোটেল’। এই হোটেলের মালিক গোলাপ রহমান জানান, তাঁর হোটেলের বেশির ভাগ ক্রেতা নিম্নবিত্ত শ্রেণির। তাঁদের ৯০ ভাগই ওয়াসার পানি পান করেন। আর ১০ ভাগ উচ্চমধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ আসেন। তাঁরা পরিবার নিয়ে এলে এক লিটার বোতলের পানি নেন।
নগরের ঐতিহ্যবাহী রেস্তোরাঁ রহমানীয়ার মালিক রিয়াজ আহমেদ খান বলেন, তাঁর রেস্তোরাঁয় ওয়াসার পানি শুধু থালাবাসন ধোয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়। ক্রেতাদের ফিল্টার পানি দেওয়া হয়।
রাজশাহী নগরের কুমারপাড়া এলাকার বাসিন্দা শামসুল হক জানান, রাজশাহীর পানিতে অত্যন্ত আয়রন। খুব তাড়াতাড়ি বাড়ির পানির লাইনের ফিটিংস নষ্ট হয়ে যায়। তাঁরা আশা করেছিলেন, ওয়াসা এলে পানি শোধন করে সরবরাহ করবে। তাহলে এই সমস্যা আর থাকবে না। কিন্তু এখনো একই অবস্থা রয়ে গেল। পানিতে যেমন আয়রন, তেমন ময়লা। শুধু শৌচাগারে এই পানি ব্যবহার করেন। আর খাওয়ার পানি বাইরে থেকে কেনেন।
ওয়াসার নামের সঙ্গেই পয়োনিষ্কাশন কথাটি জড়িয়ে রয়েছে। অথচ রাজশাহী নগরের বাসাবাড়ির বর্জ্যপানি নালার (ড্রেন) মধ্যে গিয়ে মেশে। এখনো অনেক বাড়ির শৌচাগারের পাইপ সরাসরি নালার সঙ্গে সংযুক্ত দেখা যায়। ইদানীং বৃষ্টি হলেই নালার পানিতে রাস্তাঘাট ডুবে যায়। বর্জ্যপানিতে সব মাখামাখি হয়ে যায়। ওয়াসার পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা থাকলে বর্জ্যপানি আলাদা পাইপলাইনের মধ্যে অপসারিত হতো।
ওয়াসা বলছে, এটা একটা বড় প্রকল্পের মধ্যমে করতে হবে। এ জন্য তারা একটি প্রাক্-প্রকল্প প্রস্তাবনা (প্রিডিপিপি) প্রস্তুত করেছে। এই কাজ করতে গেলে প্রকল্প সম্ভাব্যতা যাচাই করতে হবে। এখনই এই প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা জটিল। এই স্টাডির জন্য প্রায় ১০ কোটি টাকার প্রয়োজন পড়তে পারে। এই সহায়তার জন্য সম্ভাব্য বিদেশি সংস্থা হতে পারে ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (ইআইবি)। ইতিমধ্যে তারা এ বিষয়ে একটি প্রিডিপিপি মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। মন্ত্রণালয় ইআইবিকে পাঠাবে।
গত ফেব্রুয়ারিতে এক লাফে ওয়াসার পানির দাম তিন গুণ বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে ওয়াসার গ্রাহকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়। ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটি রাজশাহী নগরের সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে মানববন্ধন করে। পরের দিন এই ইস্যুতে গণসংযোগ করে এর বিরুদ্ধে জনমত তৈরির চেষ্টা করা হয়। তারা গণশুনানি ছাড়া এই দাম বাড়ানোকে অযৌক্তিক দাবি করে। তারপরও ওয়াসা পানির বর্ধিত দামই বহাল রেখেছে।
জানতে চাইলে রাজশাহী ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) এস এম তুহিনুর আলম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা পরিশোধন করে সুপেয় পানিই সরবরাহ করে থাকেন। এই পানি খেয়ে কারও অসুখ-বিসুখ হয়েছে, এমন অভিযোগ তাঁদের কাছে আসেনি। পানিতে যাতে ময়লা না যায়, এ জন্য পাইপগুলো নিয়মিত ‘ওয়াশ আউট’ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব পাম্পেই ক্লোরিনেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে, যাতে কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া নির্মূল হয়। পানির দাম বাড়ানোর ব্যাপারে তিনি বলেন, দাম বাড়ানোর পরও রাজশাহী ওয়াসাই সবচেয়ে কম দামে পানি দেয়। তা ছাড়া সার্বিক ব্যয় বহন করার জন্য তাঁদের কাছে দাম বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি সফিউদ্দিন আহমদ বলেন, রাজশাহী একটি সুন্দর নগর। রাস্তাঘাট চওড়া, পরিপাটি। বাইরে থেকে সবাই এসে এই নগরের প্রশংসা করেন। কিন্তু মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী নগরের কোনো পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়নি। বাসাবাড়ির বর্জ্যপানি ড্রেনের পানিতে মিশে যায়। এই সুন্দর শহরের সঙ্গে এটা যায় না। আবার রাস্তাঘাট নির্মাণ করা হয়ে গেল, এখন যদি ওয়াসা তাদের পয়োনিষ্কাশন লাইন করতে যায়, তাহলে এই শহর আবার খোঁড়াখুঁড়ি করতে হবে। এটা যেমন বেদনাদায়ক, তেমনি অর্থের অপচয়ও হবে। এটা সমন্বয় থাকার দরকার ছিল।
রাজশাহী মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক বলেন, ওয়াসার পানি ওয়াসার কোনো কর্মকর্তা খান না। খাওয়া যায় না। এতে ময়লা থাকে, কেঁচোও পাওয়া যায়। ব্যবহার করলে চর্মরোগ হয়। এই পানির দাম তিন গুণ বাড়ানো হয়েছে। ওয়ার্কার্স পার্টি এর প্রতিবাদে আন্দোলন করেছে। তারপরও ওয়াসা পানির বর্ধিত মূল্যই রেখেছে। এর প্রতিকারের জন্য তাঁরা অচিরেই একটি আইনি প্রক্রিয়ায় যাবেন।