ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একজন প্রার্থীর পক্ষে সরাসরি ভোট চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তাঁদের প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল হোসেন (দীপু)। আজ সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ দাবি জানান।
আবুল হোসেন যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন, তাঁরা হলেন গফরগাঁও সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরোজা নাজনীন ও গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাশার। তাঁরা গফরগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের প্রার্থী আশরাফ উদ্দিনের পক্ষে ভোট চাইছেন বলে অভিযোগ আবুল হোসেনের।
আগামীকাল বুধবার ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আবুল হোসেন (ঘোড়া), আশরাফ উদ্দিন (আনারস) ও আফজালুর রহমান (মাইক) চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবুল হোসেন বলেন, গফরগাঁও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের আগে আনারস প্রতীকের প্রার্থী আশরাফ উদ্দিনের পক্ষের কর্মীরা অবৈধ অস্ত্র দেখিয়ে মানুষের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করছেন। এসব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানালে স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে সাড়া দিচ্ছে না। এ ছাড়া গফরগাঁও সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরোজা নাজনীন ও পাগলা থানার ওসি খায়রুল বাশার আশরাফ উদ্দিনের পক্ষে সরাসরি ভোট চাওয়ায় সাধারণ ভোটাররা নির্বাচন নিয়ে ভয় পাচ্ছেন। পুলিশের এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গত ২৪ মে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।
আবুল হোসেন আরও বলেন, ‘নির্বাচনের প্রচারণা শুরু থেকেই আশরাফ উদ্দিন বাদলের কর্মীরা আমার প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে। আমার কর্মী–সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখানো ও প্রচার মাইক ভাঙচুর করেছে।’
গফরগাঁও সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরোজা নাজনীনের ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে কল করা হলে তিনি ধরেননি। পাগলা থানার ওসি খায়রুল বাশার বলেন, ‘আবুল হোসেন দীপুর অভিযোগ সঠিক নয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের আমরা যা যা করণীয়, তা করছি। এমনকি আবুল হোসেন দীপুকে তাঁর চাওয়া অনুযায়ী পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।’
গফরগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজুল আলম বলেন, ‘আবুল হোসেন দীপুর অভিযোগ আমরা আমলে নিয়েছি। তবে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। বরং আবুল হোসেন দীপু অবৈধ অস্ত্রের মহড়া দিয়েছেন বলে প্রমাণ আছে আমাদের হাতে। পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগের পর ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার সেখানে অতিরিক্ত একজন পুলিশ সুপারকে পাঠিয়েছেন দায়িত্ব পালনের জন্য। গফরগাঁওয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি।’