মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, রাজাকারের তালিকা প্রকাশের জন্য নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত এটি চলবে। আগামী বছরের মার্চ মাসে এটি প্রকাশিত হবে। তিনি আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহীর বাগমারায় স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেছেন।
মন্ত্রী বিএনপির চলমান পদযাত্রা বিষয়ে বলেন, পদযাত্রা করে সরকার পতন করা যায়, এমন কোনো নজির নেই। আন্দোলন করে কোনো লাভ হবে না। আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে—এমন ইঙ্গিত দিয়ে নেতা-কর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, এই সময়ে বিরোধী পক্ষ বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচারে লিপ্ত থাকবে। সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বিএনপি নেতাদের পাকিস্তান প্রীতির কথা উল্লেখ করে বলেন, তারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অবান্তর কথা বলেন। তিনি বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও গয়েশ্বর রায়ের নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘তাঁরা বলেছেন এই দেশে নাকি মুক্তিযুদ্ধ হয়নি, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হয়েছে।’ তিনি তাঁদের পাকিস্তানে চলে যাওয়ার জন্য বলেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য এনামুল হকের বিরুদ্ধে ইসমাইল হোসেন গাইন নামের এক রাজাকারকে মুক্তিযোদ্ধা বানানোর জন্য ডিও লেটার দেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়। এর জবাবে তিনি বলেন, ‘অনেক সময়ে সংসদ সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে ডিও লেটার দেওয়া হয়। যদি এমন হয়, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর আগে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বাগমারা উপজেলার তক্তপাড়ায় নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধন করেন। পরে তিনি উপজেলার ভবানীগঞ্জ নিউমার্কেট মিলনায়তনে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন। এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এফ এম আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এনামুল হক, পুঠিয়া ও দুর্গাপুর থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মনসুর রহমান, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জব্বার প্রমুখ।