মানিকগঞ্জে ফিরে দবির হোসেন নামের এক ব্যক্তির বাড়ি ঘেরাও করেন ‘প্রতারিত’ লোকজন। আজ সোমবার দুপুরে
মানিকগঞ্জে ফিরে দবির হোসেন নামের এক ব্যক্তির বাড়ি ঘেরাও করেন ‘প্রতারিত’ লোকজন। আজ সোমবার দুপুরে

শাহবাগের সমাবেশে গিয়ে টাকা না পেয়ে সংগঠনের প্রতিনিধির বাড়ি ঘেরাও, আটক ৫

শাহবাগে সমাবেশে গেলে বিনা সুদে ঋণ পাওয়া যাবে—এমন প্রলোভন দেখিয়ে মানিকগঞ্জ থেকে বাসভর্তি মানুষ নিয়ে আসেন একটি সংগঠনের প্রতিনিধিরা। শাহবাগে সমাবেশে এসে প্রতারিত হয়ে মানিকগঞ্জে ফিরে ওই সংগঠনের প্রতিনিধি দবির হোসেনের বাড়ি ঘেরাও করেন লোকজন। আজ সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে।

আজ বেলা দুইটার দিকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এ সময় দবির, তাঁর স্ত্রী চামিলী আক্তার ও হাসিনা আক্তারকে আটক করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ‘অহিংস গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠনের প্রতিনিধিরা মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার লোকজনকে বিনা সুদে এক লাখ টাকা করে ঋণ দেওয়ার কথা বলেন। বলা হয়, বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। ঢাকার শাহবাগে যাঁরা যাবেন, তাঁদের এক লাখ টাকা করে ঋণ দেওয়া হবে। ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আজ ভোর পাঁচটার দিকে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন জরিনা কলেজ মোড় এলাকায় দবির হোসেনের বাড়ির সামনে জড়ো হন। সেখান থেকে অন্তত ছয়টি বাসে করে ঢাকার শাহবাগের উদ্দেশে রওনা হন। শাহবাগে যাওয়ার পর পরিস্থিতি খারাপ দেখে ওই বাসে করেই আজ দুপুরে মানিকগঞ্জে ফিরে আসেন। এরপর দবিরের বাড়ি ঘেরাও করেন এসব লোকজন।

নাজমা বেগম নামের এক নারী বলেন, ‘শাহবাগ এলাকায় সমাবেশে গেলে এক লাখ থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত বিনা সুদে ঋণ দেওয়ার কথা বলে দবির ও তাঁর স্ত্রী আমাদের কাছ থেকে ২৫০ টাকা করে নেন। আজ ভোরে জরিনা কলেজ থেকে ছয়টি বাসে চার শতাধিক নারী-পুরুষ সমাবেশের উদ্দেশে রওনা হই। দবির এলাকার লোক, দবিরকে আমরা আগে থেকেই চিনি, এ জন্য তাঁর কথায় আমরা প্রলুব্ধ হয়েছি।’

একই অভিযোগে আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিঙ্গাইর বাসস্ট্যান্ড থেকে দেলোয়ার হোসেন ও জহুরা বেগমকে আটক করা হয়েছে বলে জানান সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম। মানিকগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক স্বপন কুমার সরকার বলেন, আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পরবর্তী সময়ে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।