মাগুরায় হরতালে বাসে আগুনের ঘটনায় ৩৪৯ জনকে আসামি করে মামলা

মাগুরা জেলার মানচিত্র
মাগুরা জেলার মানচিত্র

মাগুরায় বিএনপির ডাকা গতকাল রোববারের হরতালে বাস ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে হামলার শিকার বাসের মালিক মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে মাগুরা সদর থানায় মামলাটি করেন। গতকাল বেলা দুইটার দিকে ভায়না এলাকায় এসবি এক্সক্লুসিভ নামের বাসটি ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।

মাগুরা সদর থানা সূত্রে জানা গেছে, ভাঙচুর, নাশকতা ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে করা মামলায় ৪৯ জন আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে আসামিদের পরিচয় প্রকাশ করেনি। তবে আসামিরা বেশির ভাগই বিএনপির নেতা–কর্মী বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী প্রথম আলোকে বলেন, এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে। তবে আটক হওয়া ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।

তবে জেলা বিএনপির দাবি, তাঁদের অন্তত ১০ জন নেতা–কর্মীকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আছেন জেলা যুবদলের সভাপতি ওয়াসিকুর রহমান, সহসভাপতি আমিরুল ইসলাম, পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রাজা মিয়া, শ্রীপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাজমুল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা বসির। এর মধ্যে যুবদল সভাপতি ওয়াসিকুর রহমান ও সহসভাপতি আমিরুল ইসলামকে সোমবার সকালে পৌরসভার পুলিশ লাইনস ও পারনান্দুয়ালী এলাকা থেকে আটক করা হয়।

বাকিদের রোববার রাতে বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুকুজ্জামান ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা কেন গাড়িতে আগুন দিতে যাব? আমরা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। এগুলো সরকার তার এজেন্টদের দিয়ে করিয়ে আমাদের ওপর দায় চাপাচ্ছে। ঢাকার সমাবেশের পর থেকেই পুলিশ আমাদের নেতা–কর্মীদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে, ভাঙচুর করছে, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে। পুলিশকে সরকার রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। তবে এভাবে আন্দোলন দমানো যাবে না।’

ভাঙচুর হওয়া বাস এসবি এক্সক্লুসিভের তত্ত্বাবধায়ক (সুপারভাইজার) আবদুর রহমান বলেন, ঝিনাইদহ থেকে যাত্রী নিয়ে আসেন। আবার সেখানে যাত্রী নিয়ে ফিরছিলেন। ভায়না মোড় থেকে গাড়ি চালু হয়ে ৫০ মিটার যেতেই সামনে মিছিল নিয়ে লোকজন আসেন। মিছিলকারীরা এসে লাঠি, লোহার রড ও ইটপাটকেল নিয়ে হামলা চালান এবং গাড়িতে আগুন দেন। তবে এর আগেই যাত্রীরা নেমে পড়েন।